জেলাদেশরাজ্য

ভবঘুরে রানুর গলায় লতার সুরে মজেছে গোটা দেশ….

দীর্ঘদিনের তেল না দেওয়া জট পাকানো চুল, পরনের কাপড় মলিন, কিন্তু যে বিষয়টি তাকে সকলের থেকে আলাদা করেছে সেটি হলো তার কোকিল কন্ঠে সুমধুর সংগীত। নদীয়া জেলার রানাঘাট স্টেশন এর ব্যস্ততম দিনে যখন সবাই ট্রেন ধরার জন্য ব্যস্ত তখনই কোন এক তরুণ ইঞ্জিনিয়ার এর প্রথম নজরে আসে ভবঘুরে রানুকে। তখন রানু আপন মনে সুর সম্রাজ্ঞী লতাজির ‘ইয়ে পেয়ার কা নাগমা হে’ গান গান গাইছে তার গান শুনে তরুণ ইঞ্জিনিয়ার এর এতটাই ভাল লেগে যায় যে সে তার মোবাইল ক্যামেরায় বন্দী করে সেই ভিডিও এবং বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় আর তার সঙ্গে সঙ্গে গোটা দেশ থেকে ফোন আসতে থাকে সেই তরুণ ইঞ্জিনিয়ার এর মোবাইলে এবং সকলেই ভবঘুরে রানুর গান রেকর্ড করতে এবং তাকে দিয়ে অনুষ্ঠান করতে আগ্রহী বলে তাকে জানায়। ভবঘুরে রানুর কথায় সে অতীতে সংগীতের সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং সে স্টেজ শোও করত। কোন বিশেষ কারণবশত হয়তো তার মানসিক বিকৃতি হয়েছে ঠিকই কিন্তু তার পিছু ছাড়েনি সংগীত। আজও সে সংগীত সাধনায় মগ্ন। আপন মনেই সুরেলা কন্ঠে গেয়ে চলেছে সুর সম্রাজ্ঞীর সেই বিখ্যাত গান ‘ইয়ে পেয়ার কা নাগমা হে/মজো কি রাওয়ানি হে/ জিন্দেগি মে অর কুছ ভি নেহি/ তেরি মেরি কাহানি হে’।

Comment here