Uncategorized

‘মানসিকভাবে বিপর্যস্ত’ কালীগঞ্জের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী

প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ- একুশের নির্বাচনে বাবার জেতা আসনে উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু, সেই জয়ের পর বোমাবাজিতে এক নাবালিকার মৃত্যুতে মানসিকভাবে ‘বিপর্যস্ত’ কালীগঞ্জের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। বছর এগারোর নাবালিকা তামান্না খাতুনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে তিনি বললেন, দোষীদের কঠোর শাস্তির জন্য পুলিশকে বার্তা দিয়েছেন।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও বার্তায় আলিফা বলেন, “মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। নিষ্পাপ, ফুটফুটে ১১ বছরের মেয়েকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। এই ঘটনায় আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ। আমি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাদের বার্তা দিয়েছি, এই ঘটনায় যারা জড়িত, দল-বর্ণ নির্বিশেষে তাদের যেন কঠোরতম শাস্তি হয়। প্রশাসন যেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।”
বিপর্যস্ত তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী আরও বলেন, “আমি নিজে একজন মা। একজন মায়ের কোল খালি হলে কেমন লাগতে পারে আমি বুঝি,এই ঘটনা কাম্য করিনি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এই পরিবারকে সমবেদনা জানানোর কোনও ভাষা নেই,যতটা সম্ভব এই পরিবারের পাশে থাকব। ভবিষ্যতে যাতে বোমাবাজির ঘটনায় কোনও শিশুকে প্রাণ না হারাতে হয়, সেটা দেখব। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করব। আরও একবার সবাইকে জানাতে চায় গভীরভাবে মর্মাহত। এবং এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এইটুকু আশ্বাস দিতে চান প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে এই ঘটনায় যুক্তদের যাতে কঠোরতম শাস্তি হয়, তিনি তার চেষ্টা করবে
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে কালীগঞ্জে জিতেছিলেন আলিফার বাবা নাসিরুদ্দিন আহমেদ। তাঁর মৃত্যুতে এই আসনে উপনির্বাচন হয়। এদিন ফল ঘোষণার পর তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা বিজয়োল্লাসে মেতে ওঠেন। তখনই বোমাবাজিতে তামান্নার মৃত্যু হয়। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম আদর শেখ। মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর বার্তার পরও মাত্র একজনকেই কেন গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষদের।।

Comment here