প্রদীপ সাঁতরা….কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট আগামী দিনে পরিবেশকে নির্মল করতে হুগলির উত্তরপাড়ার মাখলায় কঠিন বর্জ্য প্রকল্প ঘুরে দেখলেন এক জাপানি প্রতিনিধি দল শুধু তাই নয় তারা উত্তরপাড়া শহরকে মডেল টাউন হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন যা এই রাজ্যে প্রথম কোনো শহরের মুকুটে একটি নতুন পালক বসলো।
পচনশীল ও অপচনশীল দ্রব্য ভাগ করে মেশিনের সাহায্যে জৈব সার তৈরি হয় এখানে চা চাষের কাজে অপরিহার্য যেকোনো গাছের জন্য উৎকৃষ্ট। এই উপলক্ষে গত 7/08/19 বুধবার দুপুরে এই পুরসভার কুড়ি নম্বর ওয়ার্ড মাখলায় সার কারখানায় এক অনুষ্ঠানে জাইকার প্রতিনিধিদলের চার সদস্য ভিনীত সারীন, অতিরিক্ত অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডেভলপমেন্ট অফিসার শারিন এছাড়া ইউকো শিনে হারা ও মাসাহিরও শায়িত এবং কজো নাগা হিয়া এদের পুরসভার পক্ষ থেকে পুরো চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব সম্বর্ধনা জানালেন। তারা জানালেন এখানে এসে খুব খুশি ও কাজ দেখে অভিভূত। প্রতিনিধি দলের নেতা সারিনের বক্তব্য এই প্রকল্প চোদ্দ বছর ধরে চলছে , শুরু করি যখন খুব কঠিন ছিল দেশের চল্লিশটা পুরসভা নিয়ে এ প্রকল্প শুরু হয় উত্তরপাড়ায় প্রথম করি আমরা সফল হয়েছি পনেরটি প্রকল্প আমরা করছি এখানে এক সময় জমি দেখার লোক ছিল না ভেবেছিলাম এটা করতে পারব কিনা ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই পুরসভা প্রথম খুব কষ্ট করেছে আজ সফল হয়েছে হবে না ভেবেছিলাম। পুরচেয়ারম্যান খুব সহযোগিতা করেছে , এরা বিশ্ব মানচিত্রে নাম করেছে এখন অনেক পুরসভায় কাজ করছে আগামী দিনে আরো ভালো কাজ আমরা করব। এরপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব বলেন আমরা কৃতজ্ঞ জাপানী প্রতিনিধিদলের কাছে তারা আজ এই শহরকে চিহ্নিত করে মডেল টাউন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, এই শহরে সবাই সচেতন, কাজ করতে হবে। এই পুরসভা আগে সেরা শহর হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে আমরা গর্বিত তারা ১১ বছর ধরে কাজ করছে ২০০৭ থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ১৭০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে জাইকা দিয়েছে ১৪১ কোটি টাকা ২৯ কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিয়েছে। জানা গেল উত্তরপাড়ায় তেইশটি ওয়ার্ডের প্রত্যেক বাড়ি থেকে পচনশীল অপচনশীল জঞ্জাল সংগ্রহ করে এই পুরসভা তারপর এই কারখানায় জৈব সার তৈরি হয়। জাইকা কথাটার অর্থ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সি। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার সব কাউন্সিলররা ও পুরকর্মীরা ও বিশিষ্টরা।
Comment here