জেলাদেশরাজ্য

শোভনকে তৃণমূলে ফেরাতে গোপনে বৈশাখীর সঙ্গে লাগাতার বৈঠক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের……

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শোভনের সম্পর্ক নিয়ে বেশ কয়েক বার উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত এতটাই তিক্ত হয়ে ওঠে যে শোভন মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দেন। তার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে কলকাতার মেয়র পদও ছেড়ে দিতে বলেন এবং শোভন সে পদও ছেড়ে দিয়ে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। সামনের বছর কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে কলকাতার ৫০টি ওয়ার্ডে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে চলে গেলে সেই ৫০ কোথায় পৌঁছে যেতে পারে, তা ভেবে তৃণমূল নেতৃত্বের উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া মোটেই অস্বাভাবিক নয়। কারণ কলকাতা তৃণমূলের কাছে মর্যাদার লড়াই। দলের জন্ম হওয়ার পর থেকে অধিকাংশ সময়টাই কলকাতার দখল তৃণমূল নিজের হাতে রেখেছে। সুতরাং এই পরিস্থিতিতে শোভনকে ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠেচ্ছে তৃণমূল। সেই বৈশাখীকে সেতু বানিয়ে শোভনের কাছে পৌঁছনোর মরিয়া চেষ্টায় তৃণমূল, জল্পনা এমনই। বৈশাখীর সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে পার্থ সে কাজে সফলও হয়েছেন বলে তৃণমূলের একটি অংশ দাবি করতে শুরু করেছে। বৈঠক বা ফোনালাপের কথা অস্বীকার করছেন না বৈশাখীও। কিন্তু তৃণমূলের হয়ে সক্রিয় হওয়ার জল্পনা পত্রপাঠ নস্যাৎ করছেন তিনি।মিল্লি আল আমিন কলেজের অধ্যক্ষা তথা শোভন ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে গত রবিবার বৈঠকে ডেকেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে বিকাশ ভবনে নয়, রবিবার হওয়ায় বৈশাখীকে নিজের বাসভবনেই ডেকেছিলেন পার্থ। প্রায় তিন ঘণ্টা চলে সে বৈঠক। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কলেজ শিক্ষিকার সেই বৈঠকে শিক্ষা দফতর নিয়ে কোনও কথা হয়নি, এমন নয়। কিন্তু সে আলোচনা ছিল নেহাৎই সংক্ষিপ্ত। ঘণ্টা তিনেকের বৈঠকে সিংহ ভাগ সময়টাই পার্থ ব্যয় করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূলের কাজে সক্রিয় ভাবে ফেরানোর বিষয়ে আলোচনা করতে। খবর শোভনের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের।

Comment here