প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত শহরে জোনে লটারি বিক্রি বন্ধ, অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনে নামলেন বারাসত জোনের লটারি বিক্রেতারা। লটারি বিক্রি বন্ধ করে আন্দোোলনে সামিল হয়েছেন তাঁরা। মূলত পুনরায় আগের ভাউচার চালু এবং পুরস্কার চালুর দাবিতেই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন বারাসত জোনের ডিয়ার লটারি বিক্রেতারা। এগুলি চালু না হওয়া পর্যন্ত লটারি বিক্রি বন্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বারাসত জোনের ডিয়ার লটারি সেলার ইউনিয়ন। ফলে আপাতত বারাসত জোনে লটারি বিক্রি বন্ধ থাকছ।কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রবিবারই অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনে নামার ব্যাপারে ডাক দিয়েছিল বারাসত জোনের ডিয়ার লটারি সেলার ইউনিয়ন । একেবারে বারাসত শহরে মাইকিং করে সকল লটারি বিক্রেতাকে এই আন্দোলনে সামিল হওয়ার আবেদন জানানো হয়। লটারি বিক্রেতা সংগঠনের তরফে জানানো হয়, ডিয়ার কোম্পানির বিরুদ্ধে সেলার ও কাস্টমারদের শোষনের প্রতিবাদে আগামী ১০ই অক্টোবর অর্থাৎ সোমবার থেকে ডিয়ার কোম্পানির টিকিট বিক্রয় সেলারদের পক্ষ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। এই আবেদন জানিয়ে সকল বিক্রেতাদের একত্রিত হয়ে আন্দোলনে সামিল হওয়ার আবেদন জানানো হয়।বারাসত জোনের আন্দোলকারী ডিয়ার লটারি সেলার ইউনিয়নের মূল দাবি হচ্ছে, আগে যে ভাউচার ছিল সেই ভাউচার পুনরায় দিতে হবে। পাশাপাশি আগে লটারিতে যে রকম পুরস্কার দেওয়া হত, সেই লটারির পুরস্কার দিতে হবে।বারাসত জোনের ডিয়ার লটারি সেলার ইউনিয়নের অন্যতম সদস্য জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন, “আমি ২০ বছর ধরে লটারির টিকিট বিক্রি করছি। আগে অনেক অফার, গাড়ি সহ অনেক পুরস্কার সহ অনেক সুবিধা পাওয়া যেত। আগে আমিও অনেক সুবিধা পেয়েছি। কিন্তু এখন কোনও পুরস্কারই দিচ্ছে না, ভাউচার তো দূরের কথা।” একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “সব কোম্পানিকে তাড়িয়ে দিয়ে একা ব্যবসা করছে ডিয়ার লটারি। কিন্তু এখন বিক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই পুরস্কার বন্ধ করে দিয়েছে। কমিশন একেবারে কমিয়ে দিয়েছে। এত বছর ধরে ব্যবসা করার পর এখন আর কি করব! অন্য কোথাও কাজ করার আর বয়স নেই।” তাই ডিয়ার কোম্পানি পুনরায় আগের ভাউচার চালু করতে হবে, না হলে ডিয়ার সেলারদের এই আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে বলে গঠনের তরফে দাবি জানান জয়ন্ত বিশ্বাস।