প্রতিনিধি:-
মোমিনপুরে অশান্তির ঘটনায় রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়ল বঙ্গ বিজেপি। একদিকে অশান্তির ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে চিঠি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী অন্যদিকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে আটক করা হল সুকান্ত মজুমদারকে। পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে যাওয়ার পথেই আটক করা হয় তাঁকে,চিংড়িঘাটা মোড়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে আটকানো হয় বলে জানা যাচ্ছে।
আর তা নিয়ে একেবারে হুলস্থুল বেঁধে যায়। রীতিমত ডিসি ইস্ট গৌরব লালের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বালুরঘাটের সাংসদ। যদিও শেষমেশ তাঁকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।শুধু সুকান্তই নয়, তাঁর আরও দুই সঙ্গীকেও আটক করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে অন্যদিকে মোমিনপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে বাংলার দায়িত্বপ্রাক্ত রাজ্যপালকেও চিঠি দিয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে। বিরোধী দলনেতার দাবি, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এই মুহূর্তের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। এমনকি থানার নিয়ন্ত্রণ কিছুক্ষণের জন্যে পুলিশের হাতে ছিল না বলেও অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর আর এই বিষয়ে অমিত শাহকে বিস্তারিত জানিয়ে চিঠি লিখেছেন তিনি। আর এই চিঠি ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।এই ঘটনা দুঃখজনক হলেও থেমে যাবে বলে আক্রমণ সাংসদ সৌগত রায়ের। এই প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব রাজ্যের। আর তা দায়িত্ব নিয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও দাবি বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা। এখানে অমিত শাহকে চিঠি লিখে কি হবে বলেও জানান তিনি। সৌগত রায়ের দাবি, খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তবে ঘটনা দুঃখজনক বলে দাবি তৃণমূল সাংসদের।অন্যদিকে সংঘাত ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত। এই প্রসঙ্গে টুইটারে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তোপ দেগেছেন তিনি। একই সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা। স্বপবাবু তাঁর টুইটে লিখছেন, খিদিরপুর-একবালপুরের ঘটনা এলার্মিং। হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ব্যাপক হামলা হয়েছে বলেও দাবি স্বপনের। অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তাঁর দাবি, এই রাজ্যে নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। সাম্প্রদায়িক হিংসা প্রায়শই ঘটছে বলেও দাবি তাহার।