প্রতিনিধি:-
মহাসমারোহে উদ্বোধন হয় দিঘা মেরিন ড্রাইভ। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় এই প্রজেক্ট। দিঘা থেকে শঙ্করপুর পর্যন্ত বিস্তৃত এই রাস্তাতে সমুদ্রকে পাশে রেখে ভ্রমণের জন্য তৈরি হয়ে যায় আপামর বাঙালি কিন্তু দুরাবস্থার কারণে বন্ধ হয়ে যায় এই রাস্তা।উদ্বোধনের এক মাস পেরোয়নি তার আগেই এই প্রোজেক্ট বন্ধ হয়ে যাওয়াতে মুখ পুড়েছে প্রশাসনের। ১৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয় ৩০ কিলোমিটার লম্বা মেরিন ড্রাইভ। আর এই প্রোজেক্ট এক সুতোয় জুড়ে দিয়েছিল দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর এবং মন্দারমণিকে। পুজোর কিছুদিন আগে ১৪ সেপ্টেম্বর সেই মেরিন ড্রাইভের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পুজোর পেরোতে না পেরোতেই অচল হয়ে গেল সেই রাস্তা।উদ্বোধনের এক মাস পেরোয়নি তার আগেই এই প্রোজেক্ট বন্ধ হয়ে যাওয়াতে মুখ পুড়েছে প্রশাসনের। ১৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয় ৩০ কিলোমিটার লম্বা মেরিন ড্রাইভ। আর এই প্রোজেক্ট এক সুতোয় জুড়ে দিয়েছিল দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর এবং মন্দারমণিকে। পুজোর কিছুদিন আগে ১৪ সেপ্টেম্বর সেই মেরিন ড্রাইভের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পুজোর পেরোতে না পেরোতেই অচল হয়ে গেল সেই রাস্তা।রাস্তার দুরাবস্থায় আটকে পড়ার পর কোনো সাহায্য মেলেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের তরফ থেকে। একের পর এক অভিযোগের পর শেষমেষ বন্ধই করে দেওয়া হয় এই রাস্তা। দীর্ঘ সাড়ে তিন কিমি রাস্তাতে এতই সমস্যা রয়েছে যে, রাস্তা বলার চেয়ে খানাখন্দ বললেও ভুল বলা হয়না। কোথাও কোথাও ৩ ফুট গভীর গর্তও রয়েছে! আর সেখানে কোনো সতর্কতামূলক বোর্ডও নেই। ফলে দারুণ সমস্যায় পড়তে হয় পর্যটকদের।এই তো কয়েকদিন আগের কথা নবমীর সন্ধ্যেতে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন পিন্টু হাজরা, তিনি নিজের দুরাবস্থার কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘শঙ্করপুর থেকে দেড় কিলোমিটার এগোতেই রাস্তায় ছোটখাটো গর্ত দেখতে পাই। জলভর্তি সেই সব গর্ত কতটা গভীর আন্দাজ পাচ্ছিলাম না। সরু জলকাদা ভর্তি রাস্তায় পিছনে ফেরারও উপায় ছিল না। আচমকাই একটা গর্তে সামনের চাকা পড়ে গিয়ে গাড়িটা মুখ থুবড়ে পড়ে রাস্তায়।’’ স্থানীয়রাও এই সম্পর্কে পিন্টু হাজরার সুরেই সুর মেলান। এমনকী এও জানান যে, রোজ ৮-১০ টা গাড়ি আটকে যায় সেখানে, আর প্রশাসনের সেদিকে কোনো খেয়াল নেই।স্থানীয়লোকেদের সাহায্যে গাড়িকে উদ্ধার করতে পারেন পর্যটকরা। এরপর প্রশ্ন উঠে তাহলে কেন রাস্তা ঠিক করার আগেই খুলে দেওয়া হলো এই রাস্তা? এই সম্পর্কে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘ওখানে কাজ চলছে। তার মাঝে কিছু কিছু পর্যটক ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় গর্তে পড়ে গিয়ে সমস্যায় পড়ছিলেন বলে অভিযোগ আসছিল। তাই রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই অংশের রাস্তা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ইতিমধ্যেই অনেক খারাপ অভিজ্ঞতার পর তাজপুর এবং শঙ্করপুরে সতর্কীকরণ বোর্ড লাগিয়েছে সেচ দপ্তর। এই সম্পর্কে কাঁথি মহকুমার সেচ দফতরের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শুভাশিস বেরা বলেন, ‘‘ওই অংশে মেরিন ড্রাইভের রাস্তা নির্মাণের কাজের দায়িত্ব পেলেও প্রাকৃতিক কারণে তা করতে পারছি না। নভেম্বর নাগাদ শীতের সময় জোয়ারের তীব্রতা কমলে পাকাপাকিভাবে কংক্রিটের রাস্তা তৈরি করা হবে। ততদিন ওই অংশ দিয়ে যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’’ কিন্তু তাহলে এত জলদি রাস্তা উদ্বোধন করা হলো কেন? এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি কেওই।