প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ-
ভারতীয় রাজনীতিতে তিনি নেতাজি নামে পরিচিত, সেই নেতাজি আজ চলে গেলেন তিনি হলেন মুলায়ম সিং যাদব। উত্তরপ্রদেশে তিন বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন, বিধানসভায় আটবার নির্বাচিত হয়েছেন। সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাতবার। তিনি প্রথমে কুস্তিগির হবেন বলে ভেবেছিলেন, এরপর তিনি শিক্ষক হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন, এরপর তিনি তাঁর রাজনীতিতে তাঁর কেরিয়ার শুরু করেন।সাফাইকারিদের গ্রাম ইটাওয়া। সেখানেই থেকেই তিনি ভারতীয় রাজনীতিতে উঠে আসেন। শুরু থেকেই তিনি উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলেছিলেন। তাই উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব এখনও যথেষ্ট বেশি। তিনি উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে প্রবেশ বড় আকারে প্রবেশ করেন ১৯৮০-১৯৯০ সালে। একটা বড় সময় ধরে তাঁর হাতের মুঠোয় ছিল উত্তরপ্রদেশ। বলা যায় প্রায় তিন দশক। তারপর সেই গদিতে বসেন তাঁর ছেলে অখিলেশ যাদব।তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল কলেজে। সেটা ছিল ১৯৭০ সালে। তিনি লড়াই শুরু করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে। এরপর তিনি সেই লড়াইকে ক্রমে বড় আকারে তুলে ধরেন। আর সেটাই দেশের সবথেকে বড় রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন ঝড় নিয়ে আসে।এরপর তিনি ভোটে জিতে উত্তরপ্রেদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রথমবার শপথ নেন ১৯৮৯ সালে। তিনি ছিলেন উত্তরপ্রেদেশের ১৫তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। তবে তাঁর এই আগমনের পর থেকে কংগ্রেস আর কখনও উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় ফিরতে পারেনি। তিনি উত্তরপ্রদেশের রাজনীতির সাগরে প্রবেশ করেন ২৮ বছর বয়সে। তিনি যশওয়ন্ত নগরের কেন্দ্রের ইটাওয়া জেলা থেকে সংযুক্ত সোশ্যাল পার্টির হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। সেটা ছিল ১৯৬৭ সাল।এরপরেও তিনি আরও সাতবার বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছেন। ভোটে জিতেছিলেন ভারতীয় ক্রান্তি দলের হয়ে, যা ছিল চরণ সিংয়ের দল। এরপর তিনি জনতা পার্টির হয়ে ১৯৯১ সালে নির্বাচন জেতেন। এরপর ১৯৯২ সালে তিনি নিজের দল সমাজবাদি পার্টি তৈরি করেন।তিনি আইনজীবী হিসাবেও কাজ করেছেন। ইংরেজির বদলে হিন্দি ব্যবহার নিয়ে কোর্টে লড়াই করেছেন বহুবার। তিনি পার্লামেন্টে ইংরেজি বন্ধ করে দেবার জন্যও সরব হয়েছিলেন। ২০০৯ সালে আবার তাঁর দল তাঁদের নির্বাচনী ম্যানিফিয়েস্টোতে ইংরেজি বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছিল। তাঁদের দাবি ছিল এই ইংরেজি শিক্ষা ও কম্পিউটার শিক্ষা আনএমপ্লয়মেন্ট আরও বাড়িয়ে দেবে। আজ সেই লড়াকু রাজনীতিবিদের জীবনাবসান হল।