প্রতিনিধি:-
যোগ্য প্রার্থীরা রাস্তায় বসে চাকরি ভিক্ষা করবে, আর পুজো আছে পুলিশ তাদের আন্দোলন করতে দেবে না। এটা হয় না এবং যুক্তিগ্রাহ্য নয় বলে মন্তব্য বিচারপতি রাজাশেখার মান্থার। শুধু তাই নয়, ধর্মতলা চত্বরে শান্তিপূর্ন অবস্থান বিক্ষোভ করতে পারবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা।আগামী একমাসের জন্য আন্দোলন করতে পারবেন বলেও নির্দেশে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এহেন নির্দেশ যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্গা পুজো প্রায় শুরু হয়ে গিয়েছে। গোটা বাংলা এই মুহূর্তে উত্সবের মেজাজে। এই বছর ইউনেস্কোর তরফে হেরিটেজের তকমা পেয়েছে বাংলার পুজো। এই সময় পুজোর সময় বিদেশ থেকে একাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।আর এই সময় চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন প্রশাসনকে সমস্যার মধ্যে ফেলতে পারে। আর তাই বিক্ষোভে পুলিশ অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, শান্তিপূর্ন অবস্থান বিক্ষোভের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হলেও অনুমতি দেয়নি পুলিশ।
একাধিকবার এই বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল বলেও দাবি চাকরি প্রার্থীদের। কিন্তু পুলিশ কোনও অনুমতি দেয়নি বলে দাবি। আর তা নিয়ে শুরু হয় জটিলতা। আর এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরি প্রার্থীরা। আজ শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। শুনানি চলে বিচারপতি রাজাশেখার মান্থার এজলাসে। সেখানে এই বিষয়ে বিস্তারিত অভিযোগ জানানো হয় আদালতের কাছে।
মামলার শুনানিতে সরকারি আইনজীবী বলেন, পুলিশ পুজোর সময় ব্যস্ত থাকে। রানী রাসমণি রোডে একটি অবস্থান চলছে, গান্ধীমূর্তির পাদদেশে করলে বিবেচনা করা যেতে পারে। তারপরেই বিচারপতি রাজাশেখার মান্থার নির্দেশ, নির্দিষ্ট সময় মেনে অবস্থান বিক্ষোভ করতে পারবেন চাকরি প্রার্থীরা। রানী রাসমণি রোড নাকি গান্ধীমূর্তির পাদদেশ? কোথায় হবে আন্দোলন? পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করবেন চাকরিপ্রার্থীরা।
আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন চাকরি প্রার্থী আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, রাস্তায় শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে সবার। সাংবিধানিক সেই অধিকার বলে দাবি।
আন্দোলনকারীদের। এমনকি হাইকোর্টের এই সংক্রান্ত অনুমতি রয়েছে বলেও দাবি তাঁদের।
এরপরেই আন্দোলন নিয়ে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানিয়েছেন আন্দোলনকারী। তাঁদের দাবি, বিচারপতি রাজাশেখার মান্থার মন্তব্যকে সম্মান জানাচ্ছি। বলে রাখা প্রয়োজন, চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ৫০০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। আন্দোলন তোলার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু আন্দোলন উঠবে না বলে পালটা হুঁশিয়ারি আন্দোলনকারীদের।