প্রতিনিধি:-
প্রশান্ত কিশোর জন সুরজ যাত্রার তৃতীয় দিনে প্রাক্তন নির্বাচনী কৌশলবিদ নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে ফের মুখ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আবার তাঁরই হয়ে কাজের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে প্রশান্ত কিশোর দাবি করেছেন আর তিনি সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে জানান। অন্যদিকে, নীতীশ কুমার পাল্টা অভিযোগ করেছেন, প্রশান্ত কিশোর আদতে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন।প্রশান্ত কিশোর তাঁর যাত্রার তৃতীয় দিনে পশ্চিম চম্পারণের জামুনিয়া গ্রামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাটনায় নীতীশ কুমারের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের পরাজয়ের পর নীতীশ কুমার আমার সাহায্য চেয়েছিলেন। ২০১৫ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য কাজ করেছিলাম। দশ-পনেরো দিন আগে তিনি আমাকে অন্য কাজের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম, এখন সম্ভব নয়। আমি ৩,৫০০ কিমি পদযাত্রার জন্য প্রতিজ্ঞবদ্ধ।’
পাটনাতে নীতীশ কুমারের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু বৈঠকে কী হয়েছে, সেই বিষয়ে দুই পক্ষই কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। তবে নীতীশ কুমারের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের বৈঠক নিয়ে বিভিন্ন মহলে জোর জল্পনা চলছে। কারণ প্রশান্ত কিশোরের এই পদযাত্রার পরেই একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে নীতীশ কুমারের ভালো সম্পর্ক ছিল। প্রশান্ত কিশোর জেডিইউতে যোগ দেওয়ার পরেই নীতীশ কুমার তাঁকে সহসভাপতি করেছিলেন। কিন্তু পরে দুইজনের মধ্যে তিক্ততা শুরু হয়। প্রশান্ত কিশোর জেডিইউ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
জন সুরজ যাত্রা দেড় বছর ধরে চলবে। সেখানে তিনি প্রায় ৩,৫০০ কিমি যাত্রা করবেন। বিহারের ৩৮টি জেলার মধ্যে ২৫টি জেলা ভ্রমণ করবেন। তিনি করছেন, বিহারের মানুষ নতুন কিছু চাইছেন। আরজেডি, জেডিইউ-এর বাইরে নতুন কিছু চাইছেন। প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন, ২০১৪-১৫ সাল পর্যন্ত যতক্ষণ তিনি নীতীশ কুমারের হয়ে কাজ করছিলেন, তখনও কেউ নীতীশ কুমারের সম্পর্কে খারাপ কথা বলতেন না। খুব বেশি হলে বলতেন নীতীশ কুমার হেরে যাবেন। এখন নীতীশ কুমারকে বিহারের একাংশ গালিগালাজ করে। খুব বেশিদিন নেই, যখন বিহারের মানুষ বলবেন নীতীশ কুমার আর লালু প্রসাদ যাদব এক।
দেড় বছর ধরে প্রশান্ত কিশোরের এই পদযাত্রা চলবে। এই পদযাত্রায় তিনি কীসের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন এই প্রসঙ্গে বলেন, তিনি যতটা সম্ভব সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন। তিনি দিল্লি বা পাটনা ফিরে যাবেন না। পদযাত্রায় যেখানে রাত হবে, তিনি সেখানে থেকে যাবেন। কোনও যানও তিনি ব্যবহার করবেন না বলে প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেছেন, এই পদযাত্রায় তিনি প্রধান সড়ক এড়িয়ে চলবেন। তিনি চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব গ্রাম, শহর অতিক্রম করা যায়। পাশাপাশি তিনি বলেন, ২৮টি জেলার বেশিরভাগ ব্লক, গ্রাম, শহরের মানুষের কাছে তিনি পৌঁছতে চান।