প্রতিনিধি:-
কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়াই এবার মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে শশী থারুরের। কার কোথায় শক্তি, কোথায় দুর্বলতা, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। লড়াই যখন শেয়ানে শেয়ান, সেই লড়াইয়ে কে এগিয়ে কে পিছিয়ে তার চুলচেরা বিশ্লেষণ দেখে নেওয়া যাব এক নজরে। এবার কার কপালে জয়টিকা পড়ে, তার জন্য অপেক্ষা নির্বাচনের।কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে দীর্ঘ টালবাহানার পর লড়াই হতে চলেছে মল্লিকার্জুন খাড়গে ও শশী থারুরের মধ্যে। উভয়েই দক্ষিণ ভারত থেকে উঠে আসা নেতা। খাড়গেকে অফিসিয়াল ক্যান্ডিডেট হিসেবে দেখানো হচ্ছে। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুরের থেকে তিনি প্রবীণও। তবে থারুর খাড়গের থেকে অনেক আগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। একেবারে শেষমুহর্তে ভোট ময়দানে নেমেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।
মল্লিকার্জুন গান্ধী পরিবারের অনুগত বলেই পরিচিত। সেদিক দিয়ে শশী থারুর ডি-২৩ গোষ্ঠী নেতার। তবে সম্প্রতি তিনি গান্ধী পরিবার নিয়ে বা গান্ধীদের কংগ্রেস রাজনীতি নিয়ে তাত্পর্যপূর্ণ মন্তব্যে বুঝিয়েছেন তিনি গান্ধী পরিবার অনুগত না হলেও বিরোধী নন। আবার উল্টোদিকে শশী থারুরকে সরাসরি বিরোধিতাও করবে না কংগ্রেস। কেননা শশী থারুরের রাজ্য থেকেই এবারও লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন রাহুল গান্ধী।
মল্লিকার্জুন খাড়গের ইতিবাচক দিক হল তিনি এস নিজলিঙ্গপ্পার পর কর্নাটকের দ্বিতীয় এআইসিসি সভাপতি হবেন এবং জগজীবন রামের পরে এই পদে অধিষ্ঠিত একজন দলিত নেতা হবেন। আবার উল্টোদিকে শশী থারুর দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি কোনও প্রভাবশালী তৃতীয় পক্ষের নির্দেশে কাজ করছেন না। থারুর নিজে বলেছেন, সমস্ত সিনিয়র নেতারা মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে রয়েছেন, কিন্তু তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসের কর্মীরা রয়েছেন। যাঁরা পরিবর্তন চান, তাঁরা আমাকে ভোট দেবেন, এই বিশ্বাস আমার রয়েছে।
কংগ্রেস সভপাতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দশক পর। যেখানে মুখোমুখি লড়াইয়ে নামছেন দুই অ-গান্ধী নেতা। সোনিয়া গান্ধী ১৯৯৮ সালের ৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হন। তারপর মাঝে কিছুদিন রাহুল গান্ধী ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। সোনিয়া গান্ধী দীর্ঘতম কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ইতিমধ্যেই খোদাই করেছেন।
২০০০ সালে শেষ নির্বাচনে সোনিয়া গান্ধীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন জিতেন্দ্র প্রসাদ। কিন্তু ৯৯ শতাংশ ভোট যায় সোনিয়া গান্ধীর দিকে। জিতেন্দ্র প্রসাদ এই লড়াইয়ে হেরে যান। তারপর থেকে সোনিয়া গান্ধী ছিলেন এই পদে। মাঝে ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাহুল গান্ধী সভাপতি ছিলেন। ২০১৯-এ রাহুল গান্ধীর পদত্যাগের পর থেকে সোনিয়া গান্ধী অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি নির্বাচিত হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ১৭ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন. ৯১০০ জন প্রতিনিধি তাদের ভোটে নির্বাচিত করবেন নয়া সভাপতি। ১৯ অক্টোবর ফল ঘোষণা।