প্রতিনিধি:-
দুর্যোগের কালো মেঘ সরে অবশেষে স্বস্তি। পুজোর মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানাল আবহাওয়া দফতর। এর আগে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে পুজোর মধ্যে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা বলেছিল আলিপুর। বৃষ্টির জেরে পুজোর আনন্দ মাটি হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছিল বঙ্গবাসী। অবশেষে চতুর্থীর দিন স্বস্তির কথা শোনাল হাওয়া অফিস। পুজোর মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার তেমন সম্ভাবনা থাকছে না, স্পষ্ট জানালেন আবহাওয়াবিদ ড. সুজীব কর।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ষষ্ঠী থেকেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা বলেছিল আবহাওয়া দফতর। কিন্তু চতুর্থীর দিনই উলটো কথা বলল হাওয়া অফিস। আলিপুর সূত্রে খবর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ধীরে ধীরে ওড়িশার দিকে সরে যাওয়ায় বঙ্গে সেভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে না। মূলত উপকূলের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। এর আগে আলিপুর সূত্রে খবর জানানো হয়েছিল, ঘূর্ণাবর্তের জেরে পুজোয় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যজুড়ে। বিশেষত কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ১ অক্টোবর অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিন বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। যার জেরে ২ অক্টোবর অর্থাৎ সপ্তমী থেকে বৃষ্টি শুরু হবে রাজ্যে। তিন, চার ও পাঁচ অক্টোবর অর্থাৎ অষ্টমী, নবমী ও দশমীতেও বৃষ্টি থামার কোনও সম্ভাবনা নেই। শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয় বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতেও।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেও বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিনত হওয়ার জেরে বৃষ্টিপাত হয়েছিল বঙ্গজুড়ে। যার ফলে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হয় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে আরও শক্তিশালি হচ্ছিল নিম্নচাপ। দু’দিন ধরে টানা চলেছিল বৃষ্টি। ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি উপকূলবর্তী এলাকায় বেড়েছিল হাওয়ার গতিবেগও। পুজোর মুখে বারবার নিম্নচাপের জেরে একদিকে যেমন ব্যহত মণ্ডপ-প্রতিমা তৈরির কাজ। অন্যদিকে বৃষ্টির জেরে কোপ পড়ছে পুজোর বাজারেও। তবে অতিমারি পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাজারে ভিড় লক্ষ করার মতো।