প্রতিনিধি:-
এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। এছাড়াও এই দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারা করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং একাধিক মিডলম্যান। তবে কীভাবে হয়েছিল এই দুর্নীতি এবং কতজন অযোগ্য প্রার্থী এই মুহুর্তে চাকরি করছেন, তার একটা তালিকা চেয়েছিল হাইকোর্ট।এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্তে সিবিআই কলকাতা ও দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায়। এই তল্লাশিতে বেশ কয়েকটি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দেওয়া প্রার্থীর নামের পাশেও ৫০ ওপরে নম্বর বসানো হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। যা ওইসব প্রার্থীকে চাকরি পেতে সাহায্য করেছে।সিবিআই সূত্রে খবর নবম ও দশম শ্রেণির নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় প্রায় ৯০০ জনের ওএমআর শিটে জালিয়াতি করা হয়েছে। হার্ড ডিস্ক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী যাঁরা শূন্য কিংবা এক-দুই করে পেয়েছেন, এসএসসির খাতায় তাদের নম্বর বেড়ে ৫০ থেকে ৫৩-র মধ্যে ঘোরা ফেরা করছে।সিবিআই সূত্রের খবর অনুযায়ী, গ্রুপ সির নিয়োগে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরীক্ষার্থীর নম্বর বদল করা হয়েছে। যার প্রমাণ সার্ভার থেকে পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে, গ্রুপ ডির নিয়োগে প্রায় তিন হাজার জনের নম্বর বদল করার প্রমাণ পেয়েছেন সিবিআই-এর তদন্তকারীরা। সিবিআই-এর দাবি এব্যাপারে ধৃতরা মুখ খুলতে চাননি। তাঁরা ভয়েস স্যাম্পেলও দিতে চাননি।সরকার বলছে তারা কারও চাকরিই খেতে চায় না। তবে শুনানিতে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা নিজেরা পদত্যাগ করলে ভাল। না হলে তাদের বরখাস্ত করার পাশাপাশি অন্য পদক্ষেপও গ্রহণ করা হবে। এক কথায় কারচুপি করে যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের বিদায় নিতেই হবে।
এব্যাপারে আদালত এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে আবার জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং সুবীরেশ ভট্টাচার্যদের বাকি নাম বলতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। যে বা যাঁরা জালিয়াতির নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁদের নাম বলতে বিচারপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে বলেছেন।