প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ অবশেষে এলো আরো এক খুশির খবর। প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই চরম দারিদ্র্য অবস্থা হয়েছে অবলুপ্তির পথে ভারতে। আর এবার দরিদ্র নিয়ে এ:লো বড় পরিসংখ্যান। এই পরিসংখ্যান তৈরি করেছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক। তাদের তৈরি করা এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে ২০১১ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে ভারতে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ২২.৫ শতাংশ থেকে কমে ১০.২ শতাংশে নেমে এসেছে।তবে এই রিপোর্টের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো গ্রামীণ এলাকাতে তুলামূলক অনেক বেশি হ্রাস পেয়েছে দারিদ্রের মান। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের রিসার্চ থেকেই প্রথম সামনে এসে এই তথ্য। এর কয়েকদিন আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) রিপোর্টে জানানো হয়েছিল যে ভারতে চরম দারিদ্র্যতা অবসানের পথে। সেখানে সরকারের বিভিন্ন খাদ্য প্রকল্পের করা হয় তারিফ। রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে যে ভারতে বৈষম্যের হার গত ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছে সর্বনিম্ন। এই জন্য তারা কেন্দ্র সরকারকে ইতিমধ্যেই বাহবা দিয়েছে।বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্টের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য জায়গা হলো শহরের তুলনায় গ্রামে দারিদ্র্যতা হ্রাস। ২০১১ তে যেখানে গ্রামে দরিদ্রতার পরিমাণ ছিল ২৬.৩ শতাংশ, সেখানে ২০১৯ এ সেই পরিসংখ্যান কমে হয়েছে ১১.৬ শতাংশ। শহরেও কমেছে এই পরিমাণ। শহরাঞ্চলে হ্রাস কম হলেও মোট পরিমাণ অনেক কম শহরাঞ্চলে। ২০১১তে ১৪.২ শতাংশ থেকে বর্তমানে ৬.৩ শতাংশে নেমে এসেছে এখানে। গত এক দশকে ভারতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটেছে সাধারণ মানুষেরগবেষণাপত্রটির নির্মাতা বিখ্যাত ভারতীয় অর্থনীতিবিদ সুতীর্থ সিনহা রায় এবং তার সাথে ছিলেন ভ্যান ডের উইড। যৌথভাবে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেন তারা। তবে এই নয়, সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে যে, ক্ষুদ্র চাষীরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন এই সময়ে। প্রসঙ্গে বলা হয় যে, ২০১৩ এবং ২০১৮ এর মধ্যে কৃষকদের প্রকৃত আয় বেড়েছে বার্ষিক ১০ শতাংশ হারে। রিপোর্টে বড় চাষীদেরও আয়ের পরিমাণ বেড়েছে বলেই জানানো হয়েছে। তবে সেই বৃদ্ধির পরিমাণ মাত্র ২ শতাংশ।