প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ দুর্গা পুজোর আগেই তৃণমূল কংগ্রেস শিবির বড় ঝটকা দিলেন বিজেপির তারকা প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপির কলকাতা অফিসে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বসে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, রাজ্য ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জন সাংসদ তাঁর সঙ্গে রয়েছে। তাঁরা এখনও রীতিমত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েদেন ‘এই দাবি আমি আগেও করেছে এখনও করছি। আমি আমার বক্তব্যে অটল। অপেক্ষা শুধু সময়ের।’
বিজেপির অভিনেতা রাজনীতিবিদ বলেন, তিনি জানেন যে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের নেওয়া নিয়ে দলের মধ্যেই ঘোরতর আপত্তি রয়েছে। একটি পক্ষ সেটা চাইলেও অনেকেই তৃণমূল নেতাদের বিজেপিতে যোগদান ভাল করে নেয় না। তিনি সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, ”আমি জানি দলে আপত্তি রয়েছে। অনেকেই বলেছেন আমরা পচা আলু নেব না। আমি বলেছি যে আমি পুরোটা সঠিক নই কিন্তু একই ভুলের পুরনাবৃত্তি করবে না। ‘এখানেই শেষ নয়, মিঠুন চক্রবর্তী রাজ্য সরকার ও তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন এদিন। তীব্র সমালোচনা করেন পুরনো দলের। তিনি তাঁর বলিউডে লড়াইয়ের কথা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, তিনি একজন ফাইটার। যাকে পরপর ৯ বার বক্সিং রিং-এ ফেলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রত্যেকবারই তিনি ১০ গোনার আগেই উঠে দাঁড়িয়ে পড়েন। তিনি মনে করিয়ে দেন গত ৪৩ বছর ধরে তিনি বলিউডে টিকে রয়েছেন। আর সেইজন্য তিনি নিজেকে ফাইটার বলেও দাবি করেন। এজাতীয় কথা বলতে গিয়েই তিনি বলেন, ‘৪৩ বছর বলিউডে লড়াই করলেও আমি কখনও একসঙ্গে এত টাকা দেখিনি।’ রীতিমত আক্ষেপ করে বলেন, একসঙ্গে এতো টাকা রোজগার করতেও পারেননি তিনি। এটা দেখে তাঁর রীতিমত হতাশ লাগে বলেও জানিয়েছেন। তারপরই স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে মিঠুন বলেন, ‘কার নিচে কত টাকা পাওয়া গেল যার টাকা সে বলতে পারবে।’ সবমিলিয়ে তাঁর ইঙ্গিত ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা অনুব্রত মণ্ডলের দিকে। কারণ বিজেপির প্রচারক এদিন তাঁর পুরনো দলের সতীর্থদের নাম উচ্চারণ করেননি। মিঠুনের এই মন্তব্যের পরই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর সিবিআই-ইডি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে ক্লিনচিট দেওয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন। তিনি বলেন, তিনি মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিকই বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী এটা করছেন এমনটা নয়। আদালতের রায় মেনেই কেন্দ্রীয় সংস্থা কাজ করছে। তারপরই তিনি মমতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনাকে ব্যাখ্যা করতে হবে বিজেপির বেঙ্গল ব্রিগেড আপনার সঙ্গে কী অন্যায় করেছে। ‘ মিঠুন আরও বলেন, ‘আপনি যদি কোনও ভুল না করেন তাহলে আপনি শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন। কিছুই হবে না। অন্যায়ের প্রমাণ থাকলে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী কেউ বাঁচাতে পারবে না।’