প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ চলতি বছরের শেষের দিকে হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের প্রচারে শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হিমাচল প্রদেশের মান্ডিতে জনসভা করার কথা ছিল। দলের তরফে এই জনসভার জন্য ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছিল। খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বাতিল করতে হয়েছে। ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখেন।নরেন্দ্র মোদী খারাপ আবহাওয়ার জন্য সেখানে যেতে না পারাতে দুঃখ প্রকাশ করেন।ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হিমাচল প্রদেশের যুবকদের ও তাঁদের সাহসের প্রশংশা করেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে ও কার্গিল যুদ্ধে তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি দেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণে আমি সফর বাতিল করতে বাধ্য হয়েছি। সেই কারণে আমি দুঃখিত। হিমাচল প্রদেশকে আমার দ্বিতীয় বাড়ি বলে থাকি। এখানে সফর করার জন্য আমি সব সময় উত্তেজিত থাকি। আবেগপ্রবণ থাকি। এবার এই সুযোগটি হারানোর জন্য আমি দুঃখিত। আশা করছি খুব শীঘ্রই আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে।শনিবার ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, আমাদের দেশে বহু দশক ধরে জোট সরকার ছিল। তারা অস্থির ছিল। এরফলে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক স্তরে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছিল। বিদেশি মিত্র শক্তিরাও ভারতকে বিশ্বাস করতে পারত না। গত আট বছর আগে ২০১৪ সালে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে আমরা সরকার গঠন করতে পেরেছি। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনেও আমরা জয়ী হয়েছি। এরফলে ভারতে একটি স্থিতিশীল সরকার তৈরি হয়েছে। গত আট বছরে নীতি নির্ধারনের প্রচুর পরিবর্তন হয়েছে বলে তিনি জানান। আগের থেকে দেশ এখন অনেক শক্তিশালী হয়েছে। মানুষ এখন আমাদের বিশ্বাস করে। পাশাপাশি তিনি উত্তরাখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশের তুলনা করেছিলেন।বিজেপির পাশাপাশি আপ ও কংগ্রেস আসন্ন বিধানসভাকে সামনে রেখে জোর কদমে প্রচার চালাতে শুরু করেছে হিমাচল প্রদেশে। একদিকে যখন কেজরিওয়াল হিমাচবাসীদের কাছে একটা সুযোগ চাইছেন। ঠিক সেই সময় কংগ্রেস মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্বের ওপর জোর দিয়ে প্রচার শুরু করেছে। বিজেপি ও কংগ্রেসের পাশাপাশি তৃতীয় বিকল্প হিসেবে আপ ক্রমেই নিজেদের অবস্থান জোরদার করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে। হিমাচলের ৬৮ টি আসনের মধ্যে ইতিমধ্যে চারটি আসনের নাম ঘোষণা করেছে আপ। পাশাপাশি আপ, কংগ্রেস বা বিজেপি এখনও মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীর নাম দোষণা করেনি।