প্রতিপিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। বিভিন্ন জেলা থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা দলে দলে নবান্নর উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। সকাল থেকেই একাধিক মিছিল পৌঁছবে হাওড়ায় (। মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন শুভেন্দু অধিকারী , সুকান্ত মজুমজার, দিলীপ ঘোষের মতো নেতারা। বিজেপির এই মিছিলকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার শহরের একাধিক রাস্তায় যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে। বিজেপির এই কর্মসূচি বানচাল করার জন্য কী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী । তিনি বলেন, “গতবার নীল, লাল জল দিয়ে আটকে দিয়েছিল। আর এবার অন্য পদ্ধতি আছে।”নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে তুফানগঞ্জ, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রেনে করে বিজেপি কর্মীরা রওনা দিয়েছেন নবান্নর দিকে। পুলিশের তরফে ট্রেনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “তুফানগঞ্জ, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার স্টেশনে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ আটকাচ্ছে।” সেই প্রসঙ্গে মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “নবান্নের চারদিকে ১৪৪ ধারা জারি করা থাকে। পুলিশের কাজ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। পুলিশ কী ভাবে ও কোথায় আন্দোলনকারীদের আটকাবে সেটা পুলিশ ঠিক করবে। সেটা সুরক্ষিত রাখতে পুলিশ যে পদ্ধতি নিয়েছে সেটা নতুন সময় নতুন ধরনের পদ্ধতি নিতে হয়। পুলিশ সেটা নিচ্ছে। লাঠি সোঁটা নিয়ে ওরা সব সময় হুমকি দেয় এবং বিভিন্ন জায়গায় মিটিং করে প্ররোচনা তৈরি করাটাই হচ্ছে ওদের কাজ।১৯৯৩ সালের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “৯৩ সালে যখন বামফ্রন্ট সরকার ছিল আমরা রাইটার্স বিল্ডিংয়ের চারপাশে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করেছিলাম। সেখানে গুলি চালিয়ে ১৩ জনকে খুন করা হয়েছিল। পুলিশ গতবার জল, লাল জল দিয়ে আটকে দিয়েছিল। এবার অন্য পদ্ধতি আছে যাতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে ওরা বাধ্য হবে। ওদের সমস্ত চক্রান্ত ব্যর্থ হয়ে যাবে। দিল্লিতে কৃষকরা আন্দোলন করছিল। দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে দিল্লিতে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি কৃষকদের। আমরা যখন সিঙ্গুর আন্দোলন করছিলাম তখন সিঙ্গুরে ১৪৪ ধারা জারি ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাইতি পাড়ায় গিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছিল। সবটাই পুলিশ ঠিক করবে কী ভাবে তারা রাখবে। আমাদের সরকার চায় না, যে পুলিশ বাধ্য হয়ে গুলি চালাক এসব আমরা চাই না। একটা গণতান্ত্রিক আন্দোলন অগণতান্ত্রিক হয়ে পড়ে বিরোধী দল সেটাই চাইছে। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য যে পদ্ধতি নেওয়া উচিত সেটা নেবে।”