প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ ত্রিমুখী মিছিলের মাধ্যমে নবান্নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। তার মধ্যে শিয়ালদা থেকে কলেজ স্কোয়ার হয়ে নবান্নে পৌঁছবে একটি মিছিল। যার নেতৃত্বে খোদ দিলীপ ঘোষ । মঙ্গলবার সাত সকালেই শিয়ালদা স্টেশন চত্বরে পৌঁছে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। সেখানে তাঁকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এত ভয় কী সের?”দিলীপ ঘোষ এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, “যে উৎসাহ নিয়ে কর্মীরা বেরিয়েছিলেন তাঁদের মাঝপথে অনেক বাধা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ স্টেশনেই আটকে দিচ্ছে কর্মী সমর্থকদের। গাড়িতে উঠতে দিচ্ছে না। ফিরে যেতে বলা হচ্ছে আমাদের কর্মীদের। কাউকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিচ্ছে। তা সত্ত্বেও এই ভয়ংকর দুর্যোগ মাথায় নিয়েই কর্মীরা নবান্ন অভিযানে অংশ নিচ্ছেন। বৃষ্টি বাদলের মধ্যেও কর্মীদের উৎসাহ কমেনি।” এরপরই দিলীপের সংযোজন, “বিজেপি” একটা বড় মিশন নিয়ে কাজ করছে। বাংলায় দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। সে জন্য পুরো সমাজকে নবান্ন অভিযানে আসার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু, সরকার যেভাবে আটকানোর জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পুরো শক্তি লাগিয়ে দিয়েছে। আমি জানি না এত ভয় পাওয়ার কী আছে ? গণতান্ত্রিক আন্দোলন গণতান্ত্রিকভাবেই হবে। শান্তিপূর্ণভাবেই হবে। তাকেও তৃণমূল ভয় পাচ্ছে।”বিভিন্ন জেলা থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা দলে দলে নবান্নর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। এই মিছিলগুলির নেতৃত্বে শুভেন্দু অধিকারী , সুকান্ত মজুমজার , দিলীপ ঘোষের মতো নেতারা রয়েছেন। এই কর্মসূচিতে বিজেপি কর্মীরা যাতে যোগ দিতে না পারেন তার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই তাঁদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে। জলপাইগুড়িতে তাঁদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হলদিবাড়ি থেকে শিয়ালদাগামী দার্জিলিং মেলে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। অভিযোগ, মালবাজার স্টেশনে ঢোকার আগে মালবাজার থানার পুলিশ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের আটকায়।বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “নবান্ন অভিযানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিশেষ বাহিনী যদি আটকানোর চেষ্টা করে, তাহলে তাকে রুখে দেওয়া জন্য বিজেপিও প্রস্তুত। আর নবান্ন অভিযানে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়বে, জলকামান চালাবে। আমাদের পতাকা শক্ত করে উপরে দিকে তুলে ধরতে হবে, সেই জন্য ডান্ডাই লাগাতে হবে, না হলে তো পতাকা থাকবে না।”