প্রতিনিধি:-
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে আয়োজিত দলের সভায় বীরভূমের তৃণমূল নেতা কর্মীদের আরও বেশি করেলড়াই চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন দলনেত্রী। এদিন তৃণমূল নেত্রী বলেন,”কেষ্টর বেচারা শরীরটা খারাপ। ভাবছেন জেলে বন্দি করে দিয়ে পার্লামেন্টের দুটো সিট দখল করবেন? ও গুড়ে বালি। যতদিন কেষ্ট ফিরে না আসছে লড়াই আরও তিনগুণ বাড়বে। বীরের সম্মান দিয়ে ওকে জেল থেকে বের করে আনবেন। বীরভূম হারতে জানে না, হারতে শেখেনি।”
◆ফের অনুব্রতর পাশে মমতা তথা তৃণমূল কর্মীদের আরও লড়াইয়ের নির্দেশ:
আবারও অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে আয়োজিত দলের সভায় বীরভূমের তৃণমূল নেতা কর্মীদের আরও বেশি করে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন দলনেত্রী। এদিন তৃণমূল নেত্রী বলেন,”কেষ্টর বেচারা শরীরটা খারাপ। ভাবছেন জেলে বন্দি করে দিয়ে পার্লামেন্টের দুটো সিট দখল করবেন? ও গুড়ে বালি। যতদিন কেষ্ট ফিরে না আসছে লড়াই আরও তিনগুণ বাড়বে। বীরের সম্মান দিয়ে ওকে জেল থেকে বের করে আনবেন। বীরভূম হারতে জানে না, হারতে শেখেনি।”এই প্রথম না, এর আগেও প্রকাশ্যে দলের বীরভূম জেলা সভাপতির পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর বেহালায় এক মঞ্চে বক্তব্য রাখাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, “কেষ্টকে গ্রেফতার করলেন কেন? কী করেছিল কেষ্ট? যতবার ভোট হয়েছে ওকে ঘরবন্দি করে রেখেছেন, একটা ভোটেও ওকে বেরোতে দেন না। কেষ্টকে আটকালে কী হবে? গত ২ বছরে কষ্ট পেয়েছে। ওর বউ মারা গিয়েছে।” অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “কেষ্টর বাড়িতে তাণ্ডব করেছে। আমি মনে করি কেষ্টরা ভয় পাবে না। একটা কেষ্টকে ধরলে, লক্ষ কেষ্ট তৈরি হবে।” প্রসঙ্গত গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই CBI)। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত। গ্রেফতারের পর তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলেও দাবি করা হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। একইসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের পর তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য ও ঘনিষ্টদের প্রচুর সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলেও সিবিআই সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিও চালানো হয়েছে। যদিও দলনেত্রীর বারেবারেই তাঁরা পাশে দাঁড়ানো অনুব্রতকে বাড়তি অক্সিজেন দিচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।