প্রতিনিধি:-
একজন দোষ করেছে বলে সবাইকে ভুল বুঝবেন না। একটা ভুল হয়ে গিয়েছে বাকি সব ঠিক কাজকেও খাটো করে দেখবেন না। সোমবার শিক্ষক দিবসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ‘ভুল’ শুধরে নেওয়ার বার্তা দিয়ে জানালেন শীঘ্রই বাংলায় ৮৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে। শুধু একটু সময় দিন। আমরা কারও চাকরি খাইনি, আমরা নিয়োগ করতে চাই।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কার্যত স্বীকার করে নেন রাজ্য শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। শিক্ষক দিবসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি সিপিএমের দিকে আঙুল তুলে বলেন, সিপিএম আমলে কোনও কাগজ বা নথি নেই। আমরা কোনও কাগজ খুঁজে পাইনি, কোনও আলমারিও পাইনি। আসলে ওঁদের আমলে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও কাগজই ছিল না। আমাদের আমলে সব কাগজ আছে। তাই দুর্নীতি ধরা পড়ছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের পুরো ক্ষমতা আমার নেই। সব নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ভগবানেরই নেই, আর আমি তো একটা মানুষ। আমার পক্ষে কী করে সম্ভব সব কিছু ঠিক করে দেওয়া। একজন যদি কোনও ভুল করে থাকে, তাহলে সবাইকে তা দিয়ে বিচার করা ঠিক নয়।মমতার কথায়, সঙ্গদোষে ভালো মানুষও খারাপ হয়ে যায়। একজন ব্যক্তি মানুষের সততা তাঁর নিজের উপর নির্ভর করে। কে কতটা লোভী হবে, সেটা একান্তই তাঁর উপর নির্ভর করবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, কে কত টাকার মালিক হবে, তার প্রতিযোগিতা করে কী হবে। টাকা কারও চিরকাল থাকে না। কিন্তু আদর্শ রয়ে যায়।এক্ষেত্রে তিনি মানুষের নৈতিক চরিত্র গঠনের কথা বলেন। আর তিনি এ ব্যাপারে দায়িত্ব দেন শিক্ষকদের। শিক্ষক দিবসে শিক্ষক সমাজের কাছে তাঁর অনুরোধ, একটা করে ক্লাস নিন না ছাত্রদের নৈতিক চরিত্র গঠন করতে। সবার আগে দরকার মানুষের নৈতিক চরিত্র গঠন করা। তবু সঙ্গদোষে মানুষ খারাপ হয়ে যায়।এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার পাশে থাকার বার্তা দেন। ৮৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথায় তিনি আশ্বস্ত করেন বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের। তিনি বলেন, কয়েকজন রাস্তায় বসেছিলেন। আমি তাঁদের কাছে গিয়েছিলাম, বলে এসেছিলাম তাঁদের বিষয়টি দেখার কথা। সেইমতো তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে বলেওছিলাম। তিনি জানিয়েছিলেন, ওঁদের নম্বর পারমিট করছে না। তবু ব্যবস্থা করে দিতে বলেছিলাম।এরপরই তিনি বলেন, যাঁরা সুবিচার পাননি আমাদের আমলে পাবেন। শুধু একের পর এক পিআইএল করে ঘোঁট পাকাবেন না। আমরা সবার পাশে থাকতে চাই। সবার কথা ভাবতে চাই। সবাই একটু ধৈর্য্য ধরুন, আপনাদের নিয়োগ হবে। ৮৯ হাজার সংখ্যাটা কিন্তু নেহাত কম নয়।