প্রতিনিধি:-
রাজ্য বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সুনীল বনসল । সেখানে আগামী দিনের লড়াইয়ের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই খবর। কিন্তু তার মধ্যেও রাজ্যে দলীয় নেতাদের পথ দেখানোর চেষ্টা করেছেন উত্তর প্রদেশে সফল হওয়া এই নেতা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কোনও কোনও বিষয়ে রাজ্যের নেতাদের সমালোচনা করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে দায়িত্ব থেকে সরানোর পরে সুনীল বনসলকে পশ্চিমবঙ্গে দায়িত্ব দিয়েছিলেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা। তারপরেই রাজ্যের সংগঠনের হাল বুঝতে তিনদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে কলকাতায় এসেছিলেন সুনীল বনসল। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের ঠিক উল্টো প্রকৃতির, প্রচার বিমুখ সুনীল বনসল দলের নেতা ও কর্মীদের উদ্দেশে নানা মন্তব্যও করেন।রাজ্য বিজেপিতে পুরনো ও নতুনদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বারে বারে সমস্যায় ফেলেছে রাজ্য বিজেপিকে। যা নিয়ে নিশানা করতে ছাড়েনি শাসক শিবির। ফলে সেই বিষয়টি মাথায় রেখেছিলেন রাজ্যের দায়িত্ব পাওয়া সুনীল বনসল। সূত্রের খবর অনুযায়ী তিনি রাজ্য বিজেপির মধ্যে পুরনো ও নতুনদের মধ্যে ঐক্যের রক্ষার ডাক দিয়েছেন।সুনীল বনসল রাজ্যের বিজেপি নেতাদের কিছুটা তিরস্কারও করেন বলে সূত্রের খবর। কেন ইসবার ২০০ পার স্লোগান দিয়েও বিজেপি ৭৭-এ আটকে গিয়েছিল, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা চেষ্টা হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেখানে নাকি সুনীল বনসল বলেন, রাজ্যে বিজেপির নেতা আছে, কর্মী নেই। প্রসঙ্গত বিধানসভা নির্বাচনের পরে পুর নির্বাচনেরও দেখা গিয়েছে বুথে বিজেপির লোকের অভাব ছিল। যেখানে বুথ শক্তিশালী না হলে শাসকের সঙ্গে লড়াই অসম হয়ে পড়ে, সেখানই বিজেপি পিছিয়ে পড়েছিল।সুনীল বনসলের মন্তব্য লুফে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এব্যাপারে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, রাজ্যের বিজেপির কেমন অবস্থা তা বিজেপির নেতারাই জানেন। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের একজন নেত্রী, বাকি সবাই কর্মী। অর্থাত্ এক্ষেত্রে বিজেপি ঠিক উল্টো।
তৃণমূলের একের পর এক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি সামনে আসা এবং তাদের মধ্যে থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলদের জেলে যাওয়া এবং পরবর্তী সময়ে আরও নেতাদের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশিতে টাকা ও সম্পত্তি উদ্ধারে খানিক বেকায়দায় তৃণমূল কংগ্রেস। সেই পরিস্থিতিতে বিজেপির প্রতি পাল্টা আক্রমণ চালাতে এখন হাতিয়ার গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতার মন্তব্য।