প্রতিনিধি,মুক্তিযোদ্ধাঃ
◆মিটবে টাকার সমস্যা-ফিরবে শান্তি
◆জন্মাষ্টমীতে গোপালকে খুশি করুন এভাবে,
◆জানুন বিস্তারিত:-
হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, শ্রী কৃষ্ণ ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রোহিণী নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এ বছর জন্মাষ্টমীর মহান উৎসব পালিত হবে ১৯ অগাস্ট শুক্রবার। কোথাও কোথাও বৃহস্পতিবারও পালিত হচ্ছে। ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি যখন রোহিণী নক্ষত্রে যোগ হয়, তখন তা কৃষ্ণ জয়ন্তী নামে পরিচিত। এই দিনে শ্রীকৃষ্ণকে কিছু জিনিস নিবেদন করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। জেনে নিন জন্মাষ্টমীর দিন গোপালকে কী কী অর্পণ করতে হবে।
◆কী কী করতে হবে:-
জন্মাষ্টমীর দিন শ্রী কৃষ্ণের জন্য ৫৬ ভোগ তৈরি করতে হয়, এতে নারকেল ব্যবহার করতে হবে। এসব করলে শ্রী কৃষ্ণ প্রসন্ন হবেন এবং আপনিও সুখ ও সমৃদ্ধি পাবেন। জন্মাষ্টমীর দিন শ্রী কৃষ্ণকে দুধে ভরে শঙ্খ খোলে স্নান করতে হবে। এরপর গোপালের মূর্তি গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করান। তারপর একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নতুন কাপড় পরিধান করান। এরপর শ্রীকৃষ্ণকে দোলনায় বা সিংহাসনে বসান। যদি সম্ভব হয় গোপালকে হলুদ বা লাল রেশমী কাপড় পরান। এতে সুখ ও সমৃদ্ধির অভাব হবে না।
এছাড়াও জন্মাষ্টমীর দিন সন্ধ্যায় তুলসীজির পুজো করতে হবে। এর সঙ্গে জন্মাষ্টমীর দিন “ওম নমো ভগবতে বাসুদেবায় নমঃ” মন্ত্রটি ১১ বার জপ করতে হবে। আপনি এই মন্ত্রটি যত বেশি জপ করবেন, ততই আপনার উপকার হবে এবং কারো যদি কোনো ঋণ থাকে তাহলে সেই ব্যক্তি ঋণমুক্ত হবেন। আপনি চাইলে “হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে – হরে রাম হরে রাম রাম রাম রাম হরে হরে” এই মহামন্ত্রটিও জপ করতে পারেন।
◆মিটবে আপনার সব ইচ্ছা:-
এছাড়া জন্মাষ্টমীতে গরুর দুধে জাফরান মিশিয়ে বেলা ১২টায় অর্থাৎ গোপালের জন্মের সময় শ্রীকৃষ্ণকে অভিষেক করুন। এটি করলে আপনার ঘরে সর্বদা সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকবে। আপনার বাড়িতে অর্থের অভাব হবে না। আপনার আর্থিক অবস্থা মজবুত হবে এবং আপনি যদি এভাবে প্রতি জন্মাষ্টমীতে একইভাবে পূজা করেন, তবে আপনার বাড়িতে কোনও সমস্যা হবে না। আপনার ঘর সুখে পরিপূর্ণ হবে। এটি করলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আপনার উপর প্রসন্ন হবেন এবং আপনার সমস্ত আর্থিক সমস্যার অবসান হবে।