একটা সময় নীতীশ কুমারের দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর, কিন্তু সিএএ নিয়ে মতবিরোধে তিনি জেডিইউয়ের সমালোচনা করে কোপে পড়েন নীতীশের। দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর সেই নীতীশ কুমার বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে এনডিএ ছাড়লেন এবং ফের ফিরলেন মহাজোটে। এই পরিস্থিতিতে জেডিইউ সুপ্রিমোকে নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন ভোট কৌশলী।ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর এবার একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে নীতীশ কুমারকে নিয়ে মুখ খুললেন। প্রকাশ করলেন নীতীশ কুমারের শিবির বদল নিয়ে সাধারণ নাগরিক প্রশান্ত কিশোরের ব্যক্তিগত মত। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। তাই বিজেপির সঙ্গে জোট সরকারের আড়াই বছরের মাথায় তিনি মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়েছেন। ভিড়েছেন মহাজোটে। এবার বিহারের এই রাজনৈতিক মহানাটক নিয়ে এবার নিজের মত দিলেন প্রশান্ত কিশোর।নীতীশ কুমারকে নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের মত প্রকাশ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। বিহারের বর্তমান পরিস্থিতি ও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ইস্তফা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, বিহারের মানুষ এনডিএ-র নামে নীতীশ কুমারকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে। তবে এখন যে সরকারই থাকুক না কেন জনগণ তাঁকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত করেছে।নীতীশ কুমারকে নিশানায় প্রশান্ত কিশোর আরও বলেন, জনগণ গতবার ঠিক একইভাবে মহাজোটকে বেছে নিয়েছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে নীতীশ কুমার মহাজোট ছেড়ে অন্য দলের সঙ্গে গিয়ে কুর্সি রক্ষা করেছিলেন। তবে সেই সরকার বাকি সময় স্থায়ী হয়েছিল। এবারও তা পাঁচ বছর স্থায়ী হোক, সেটাই চাই। কেননা মধ্যবর্তী নির্বাচন হলে জনগণের বোঝা বাড়ে।প্রশান্ত কিশোর বলেন, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বলছি, সরকার, পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হলে, পাঁচ বছরই পূর্ণ করুক। তাহলেই মঙ্গল জনগণের। অবশ্য এই চিন্তা যাঁর সরকরা গঠন হচ্ছে তাঁর। এ ব্যাপারে তিনি আবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আমি পক্ষেও নেই, আর বিরোধী দলেও নেই। আমি শুধু একথা বললাম একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে, সাধারণ মানুষের জন্য।তাঁর কথায়, একজন সাধারণ নাগরিকের দৃষ্টিকোণ থেকে যেটা দেখছি, সেটাই ব্যক্ত করার চেষ্টা করলাম। কারণ, সরকার পরিবর্তনে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়ুক, তা যেন না হয়। সাধারণ নাগরিকদের কথা সর্বাগ্রে ভাবতে হবে। তা না হলে শুধু নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করলেই হবে না। উল্লেখ্য, প্রশান্ত কিশোর বর্তমানে বিহারে নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে ভাবছেন।