৩৯০ কোটি টাকার বেনামি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল আয়কর বিভাগ। কর ফাঁকি মামলায় একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে।বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ৫৬ কোটি টাকা নগদ, ৩২ কেজি সোনা এবং হিরে-জহরত। আয়কর কর্তারা কিছু সম্পত্তির নথিও উদ্ধার করেছেন বলে জানা গিয়েছে।আয়কর দফতর সূত্রে খবর, গত ১ থেকে ৮ অগস্টের মধ্যে দু’টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের একাধিক ঠিকানায় হানা দিয়ে এই সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে। মোট কত সম্পদ উদ্ধার হল, তা নির্ধারণ করতে আয়কর কর্তাদের ১৩ ঘণ্টা সময় লেগেছে বলে জানা গিয়েছে।একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকির ব্যাপারে তথ্য মেলার পরেই আয়কর দফতর পাঁচটি পৃথক দল তৈরি করে। এই দলগুলিতে ছিলেন ২৬০ জন আয়কর কর্তা।তাঁরাই বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেন। এ ছাড়া ১২০টিরও বেশি গা়ড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের এই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে সারা দেশ। তবে শুধু মহারাষ্ট্রে এরকমটা ঘটলো তা নয় আবার দেশে এই ঘটনা প্রথমবারের জন্য ঘটছে এরকমটা নয় পশ্চিমবঙ্গেই সম্প্রতি এই ধরনের ঘটনাই ঘটেছে, যেখানে পাত্র চট্টোপাধ্যায়ের তথাকথিত বান্ধবীর ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৬০ কোটি কাছাকাছি অর্থ এবং সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে।।অন্যদিকে বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল কে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে সিবিআই এবং এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তাকে আজকে আদালতে তোলা হতে পারে এরকম সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দশবার সমন জানানো সত্বেও অনুব্রত মণ্ডল কোনভাবেই সিবিআই এর দপ্তরে হাজিরা দেয় নি।অবৈধ সম্পত্তি এবং বিভিন্নভাবে দুর্নীতি করে যে সমস্ত কালো টাকা নেতা-মন্ত্রীরা তৈরি করেছেন সারা ভারত জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি যা মোটেই পছন্দ হচ্ছে না এক শ্রেণীর নেতা-মন্ত্রীদের।