হঠ্যাৎ করে দিল্লীতে তলব করা হচ্ছে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষনেতাদের। ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বকে নিয়ে খুশি নন কেন্দ্রীয় নেতারা। তাই বঙ্গ বিজেপিতে পালাবদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ফের। রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়েছে পুজোর আগেই বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বে বদল আসতে পারে।সম্প্রতি সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীকে তলব করা হয়েছিল দিল্লিতে। তারপর ফের তাঁদের তলব করা হয়েছে, তবে একা একা। অর্থাৎ এবার আর একসঙ্গে তাঁদের ডাকা হয়নি। ফের অমিত শাহ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তলব করেছেন। সুকান্ত মজুমদার দিল্লি থেকে ফেরার পর বৃহস্পতিবার ডাকা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে।একুশের নির্বাচনে বিজেপির ব্যর্থতা পর দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দায়িত্বে আনা হয়েছিল সুকান্ত মজুমদারকে। বিজেপি ভেবেছিল তরুণ-তুর্কি নেতার হাত ধরে ফের ঘুরে দাঁড়াবে বিজেপি কিন্তু আদতে দেখা গিয়েছে বিজেপি ক্রমেই পিছিয়ে পড়েছে। একুশের নির্বাচনের হারের পর কলকাতা-সহ শতাধিক পুরসভা নির্বাচন, উপনির্বাচনে শুধু হার জুটেছে বিজেপির।বিজেপিকে নতুন পথের সন্ধান দিতে এসেছে হেরো তকমা জোটায় গেরুয়া শিবির ক্ষুণ্ণ। তাঁরা তাই বদলের কথা ভাবছে বলে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়েছে। সাংগঠনিক রদবদবলের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বলেই ঘন ঘন শুভেন্দু-সুকান্তদের তলব করা হচ্ছে দিল্লিতে। সেপ্টেম্বরে অমিত শাহ আসতে পারেন বাংলায়। তারপরই বদল আসতে পারে।বিজেপির রাজ্য কমিটিতে বদল হয়তো আসবে, কিন্তু নেতৃত্বে বদল আসবে কি না এখনও স্পষ্ট নয়। বঙ্গ বিজেপিতে এই মুহূর্তে কোনও পর্যবেক্ষক নেই। বিজেপির সংগঠন নিয়েও খুশি নন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা। বিজেপির সহকারী পর্যবক্ষেক অমিত মালব্য, সাংগঠনিক রাজ্য সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী, এমনকী রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও তাঁদের নিরাশ করেছে বলে সূত্রের খবর।সোমবারই সুকান্ত মজুমদারকে তলব করা হয়েছিল দিল্লিতে। তিনি বাংলায় ফেরার পরই ফের দিল্লিতে আসবেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন অমিত শাহ। কেন তিনি আলাদা আলাদা করে ডাকলেন? তা নিয়ে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে গুঞ্জন। তবে কি সুকান্ত-অধ্যায় শেষ হতে বসেছে বিজেপিতে। ফের নতুন কারও কাঁধে দায়িত্ব দিতে চাইছে বিজেপি?শুধু রাজ্য সভাপতি পদই নয়, রাজ্যের জন্য নতুন পর্যবেক্ষক খোঁজাও বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ। তারপর রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-এর কাজে খুশি নয় বলে ইতিমধ্যেই ভিনরাজ্য থেকে সতীশ ধন্দকে সংগঠনের যুগ্ম দায়িত্বে আনা হয়েছে। এবার অন্য পদগুলিতে কাকে আনেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা, তা-ই দেখার। ২০২৪-এর আগে বিজেপি ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া।