প্রতিনিধি,মুক্তিযোদ্ধাঃ
আজ ১০ ই আগস্ট বড় পরীক্ষা অনুব্রত মণ্ডলের। এসএসকেএমের ফিট সার্টিফিকেটের পর সিবিআই হাজিরার মুখে অনুব্রত কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডাকে কী সাড়া দেবেন তিনি। সূত্রের খবর আজও হাজিরা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন অনুব্রত। এদিকে আজ অনুব্রতকে নিয়ে কড়া কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন দলের সুপ্রিমো। এমনই মনে করা হচ্ছে। কারণ পার্থ কাণ্ডের পর সতর্ক হয়েই পা ফেলছেন টিএমসি সুপ্রিমো।আজ অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছে সিবিআই। সকাল ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার কথা তাঁর। কিন্ত জানা যাচ্ছে যে আজও হাজিরা এড়ানোর চেষ্টা করছেন কেষ্ট। এসএসকেএম ফিট সার্টিফিকেট দিলেও বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের এখন বেড রেস্টের প্রয়োজন। একাধিক সমস্যা রয়েছে তাঁর শরীরে। ফিসচুলার সমস্যা রয়েছে। তার সঙ্গে সিওপিডির রোগী অনুব্রত। মাঝে মধ্যেই অক্সিজেন নিতে হয় তাঁকে। তার উপরে মানসিক চাপও রয়েছে। কাজেই এখন অনুব্রত মণ্ডলের বেড রেস্টের প্রয়োজন রয়েছে। মনে করা হচ্ছে ফের সিবিআই হাজিরা এড়াতে চলেছেন অনুব্রত মণ্ডল।এসএসকেএমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবেন বলে গত সোমবার হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু এসএসকেএমের চিকিৎসকরা এক প্রকার দায় ঝেড়ে ফেলেছেন। সোমবার ৭ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড অনুব্রত মণ্ডলকে দেড় ঘণ্টা ধরে পরীক্ষার পর জানান, একেবারেই সুস্থ রয়েছেন বীরভূমের টিএমসি জেলা সভাপতি। উল্টে আগের থেকে অনেকটা ভাল রয়েছেন তিনি। এখনই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। কোনও মানসিক চাপও তাঁক নেই বলে জানিেয়ছিলেন চিকিৎসকরা। এক প্রকার এসএসকেএমের চিকিৎসকরা ফিট সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছেন অনুব্রতকে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে এক প্রকার অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন তাঁরা।সোমবরা সিবিআই তলব উপেক্ষা করেই বোলপুরে ফিরে যান অনুব্রত মণ্ডল। সেখানে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডলকে দেখতে গিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন যে বেড রেস্টের প্রয়োজন রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। তারপরেই বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপারের অডিওক্লিপ প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। যদিও সেই অডিও ক্লিপ কতটা সত্যি তাতে সংশয় রয়েছে। সেখানে শোনা গিয়েছে সাদা কাগজে অনুব্রত মণ্ডলের প্রেসিকিপশন লেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিকিৎসককে।এদিকে হাসপাতালের চিকিৎসকদের ফিটনেস সার্টিফিকেটই ইঙ্গিত মিলেছে দলের। কারণ এসএসকেএম হাসপাতালের উপরে মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণ বেশি। সেখানকার চিকিৎসকা যদি তাঁকে ফিট সার্টিফিেকট দিয়ে দেন তাহলেই অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যায় কেষ্টকে নিয়ে কী করতে চাইছেন মমতা। দলের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে হয়তো শেষ পর্যন্ত কেষ্টকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি রয়েছে। তাতে কী বার্তা দেন মমতা সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।