প্রতিনিধি,মুক্তিযোদ্ধাঃ শুরু হল দেশের ১৬তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া। প্রথম ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । লখনউতে ভোট দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যশবন্ত সিনহা নাকি দ্রৌপদী মুর্মু, রাইসিনার গদিতে কে বসবেন তা নির্ধারণ হবে আগামী ২১ জুলাই। তার আগে এদিন মোট ৪২০০ জন সাংসদ-বিধায়ক এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছেন।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে যশবন্তের তুলনায় রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে দ্রৌপদীই। কারণ মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহ, হিমাচল, রাজস্থানে কংগ্রেসের দ্বন্দ্বের প্রভাব রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দ্রৌপদী মুর্মু। সব কিছু এনডিএ(NDA)-র পরিকল্পনামাফিক হলে ২১ জুলাই প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি পেতে চলেছে ভারত।ধারেভারে বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাও কিন্তু কম নয়। অটলবিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় অর্থ মন্ত্রক ছাড়াও বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছিলেন প্রবীণ এই নেতা। বাজপেয়ী অনুরাগীদের মোদী-শাহরা পাত্তা না দেওয়াই যশোবন্তের বিজেপি ছাড়ার প্রধান কারণ। বর্তমান বিজেপির অনেক সাংসদ-বিধায়ক আছেন, যাঁরা বাজপেয়ী অনুগামী। নানা কারণে তাঁরা কোণঠাসা। সেই ভোটগুলি যদি যশবন্ত নিজের ঝুলিতে নিয়ে আসতে পারেন, সে ক্ষেত্রে দ্রৌপদী মুর্মুকে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিতে পারেন বিরোধীপক্ষের এই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। বিরোধী রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর ছেলে জয়ন্ত সিনহা বর্তমানে বিজেপি সাংসদ। গত মোদী মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। কিন্তু, এবার মন্ত্রীত্বের শিঁকে না ছেড়ায় তিনি যথেষ্ট ক্ষুব্ধ বলে জানা গিয়েছে। শুধু জয়ন্ত নন, এমন অনেকে আছে যাঁরা আগের মন্ত্রিসভায় ছিলেন, কিন্তু এখন নেই। তাঁদের ভোটও যেতে পারে যশবন্তের ঝুলিতে। ফলে ক্রস ভোটিংয়ের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না বিজেপি নেতৃত্ব।অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় ভোট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। হুইলচেয়ারে করে সংসদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে পৌঁছন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। “আমি যশবন্ত সিনহাকেই ভোট দেব।” ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আগে জানালেন অখিলেশ যাদব। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ভোট দিলেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। সংসদে ভোট দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় ভোট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামী। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ভোট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।