প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসছে। সাদা খাতা জমা দিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যেই একাধিক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পরেশ অধিকারীর। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ ক্রমেই অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ আট বছর স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি। উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ২০১৪ সালে শুরু হলেও এখনও শেষ করা যায়নি। প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগেও একই অবস্থা। এই অবস্থায় রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে প্রবল শিক্ষক সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। একদিকে যখন বেকার চাকরি প্রার্থীরা নিয়োগের অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে রয়েছেন, অন্যদিকে শিক্ষকের অভাবে পঠন-পাঠনে ব্যাপক সমস্যা দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন স্কুলে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি এবং আদালতের দীর্ঘসূত্রতা নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও দুরূহ হয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে চাকরি প্রার্থীদের। শিক্ষক সহ নানাধরনের নিয়োগ দুর্নীতির ইস্যুকে সামনে রেখে ফের বাম ও কংগ্রস যৌথ আন্দোলনের পথে হাঁটতে চলেছে। বুধবার সিপিএম এবং কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের গলায় সেই সুরই শোনা গিয়েছে। বিধানসভা ভোটের পর কেটে যাওয়া গাঁটছড়া ফের একবার জোড়া লাগার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে দুই নেতৃত্বের এদিনের বক্তব্যে। বুধবার দুপুরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থানরত চাকরি প্রার্থীদের কাছে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পরে বিধানভবনে তাঁদের প্রতি সুবিচারের দাবিতে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। বিকেলে পৃথক এক সাংবাদিক বৈঠকে অধীরের প্রস্তাবের সমর্থনে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতির ইস্যুতে কিছু খুচরো আন্দোলন হচ্ছে। ফলে সরকারের হেলদোল নেই। এবার এই আন্দোলনকেই বৃহত্তর চেহারা দেওয়ার সময় এসেছে। নিয়োগ দুর্নীতি বিরোধী সমস্ত সংগঠনকে একছাতার তলায় এনে এই কর্মসূচি করার পরিকল্পনা করছি আমরা।’