প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃবিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার প্রসিডেন্টের প্রাসাদের নানা ছবি প্রকাশিত হয়েছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী., প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে একটি বাঙ্কার খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। যার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন।প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে একটি নকল টয়লেটের মধ্যে লুকনো রয়েছে সেই বাঙ্কার। যেখানে লিফটের মাধ্যমে যাতায়াত করা যায়। তবে প্রশ্ন উঠেছে প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে পালানোর জন্য বাঙ্কার ব্যবহার করেছেন কিনা।শনিবার দেখা যায় হাজার-হাজার বিক্ষোভকারী কলম্বোয় প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে ঢুকে পড়ে। প্রেসিডেন্ট ও তাঁর পরিবারের জন্য সংরক্ষিত এলাকাকে নিজেদের বাড়িতে পরিণত করে বিক্ষোভকারীরা। কাউকে দেখা যায় প্রেসিডেন্টের জিমে শারীরিক কসরত করতে, কাউকে দেখা যায় রান্নাঘরে রান্না করতে, খাবার খেতে।শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবয়া রাজাপক্ষে দ্বীপরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান হিংসা এবং তার মধ্যে নিজের পদত্যাগের দাবির মধ্যে পালিয়ে যআন শনিবার। রাজাপক্ষের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। এদিকে প্রধানমন্ত্রী বিক্রমসিংঘের পদত্যাগের পরেই পদত্যাগ করেন মন্ত্রী বন্দুলা গুণবর্ধন। প্রধানমন্ত্রীর রক্ষীরা সাংবাদিকদের ওপরে হামলা চালায় বলেও অভিযোগয যদিও সবঘটনাই অস্বীকার করা হয়েছে। এদিন প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের মধ্যে থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়া গিয়েছে। এদিনও প্রেসিডেন্ট্রের প্রাসাদের মধ্যে সাধারণ মানুষকে ভিড় করতে দেখা যায়। এর আগে প্রেসিডেন্টের ভাই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন। কিন্তু সেই সময় ইস্তফা দিতে চাননি গোটাবয়া রাজাপক্ষে। এবার সুযোগ পাওয়া মাত্রই উন্মত্ত জনতা ঢুকে পড়ে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের মধ্যে। তাদের অভিযোগ একের পর এক ভুলের কারণে আজকে দেশের এই পরিস্থিতি।
প্রেসিডেন্টের সাময়িক দায়িত্ব স্পিকারকে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে ১৩ জুলাই প্রেসিডেন্ট গোতাবয়া রাজাপক্ষে পদত্যাগ করবেন।গত মে মাসে রনিল বিক্রমসিংঘেকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। অনেকেই আশা করেছিলেন, ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করবেন। কিন্তু তারই মধ্যে জ্বালানি, ওষুধ, রান্নার গ্যাসের ঘাটতি বাড়তে থাকে। তেলের মজুত ভাণ্ডারও ফুরিয়ে যায়। জনসাধারণের ধৈর্যচ্যুতি ঘটে। দেশে ক্রমবর্ধমান হিংসার পরিস্থিতিতে স্কুলগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কা ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের সাহায্যের ওপরে নির্ভর করছে। তারমধ্যে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের সহ্গে বেলআউট নিয়েও আলোচনা চালাচ্ছে সেখানকার প্রশাসন। পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমসিঘে বলেছিলেন আইএমএফ-এর সঙ্গে আলোচনা জটিল, কেননা শ্রীলঙ্কা এখন দেউলিয়া রাষ্ট্র।
গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা জানিয়েছিল, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে তারা বিদেশি ঋণ পরিশোধ স্থগিত রাখছে। দ্বীপরাষ্ট্রের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ্ ৫১ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে তাদেরকে ২০২৭ শএষের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে ২৮ বিলিয়ন ডলার।