প্রতিনিধি, মুক্তিরোদ্ধাঃ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা রদবদল নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিধায়ক মুকুল রায়। তৃণমূলের প্রাক্তন সেকেন্ড ইন কম্যান্ড সাফ জানালেন কী কারণে রদবদল করা হচ্ছে মন্ত্রিসভার। ভাবমূর্তি ফেরানোর আর রদবদলের সঙ্গে যে আদতে কোনও সম্পর্ক নেই, তাও উঠে এল মুকুল রায়ের কথায়। সম্প্রতি পিএসি চেয়ারম্যান পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর ফের তাঁকে মুখ খুলতে দেখা গেল এবার।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার তাঁর মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে চলেছেন। স্বচ্ছ ভাবমূর্তিসম্পন্ন বিধায়কদের মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসতেই এই রদবদল বলে জানা গিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতারের পর অপসারিত হয়ছেন মন্ত্রিসভা থেকে। তারপর দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ফেরানোর লক্ষ্যেই এই রদবদল করছেন বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা।আর মুখ্যমন্ত্রীর তাঁর মন্ত্রিসভায় রদবদলের কথা ঘোষণার পর মুকুল রায় তাঁর প্রতিক্রিয়ায় তাত্পর্যপূর্ণ ও চাঁছাছোলা বক্তব্য পেশ করলেন। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভার রদবদলের উপর নির্ভর করে না ভাবমূর্তি। ভাবমূর্তি নির্ভর করে যে যার ভাবমূর্তির উপর। দরকার হলেই রদবদল হয়। কেন দরকার অন্যে কেউ বলতে পারেন না। য়ার দরকার তিনিই একমাত্র বলতে পারেন।মুকুল রায়ের প্রতিক্রিয়াকে সমর্থন জানিয়েন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তো স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন কেন রদবদল হচ্ছে। রদবদল করা হচ্ছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাধন পাণ্ডে প্রয়াত হয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেল-বন্দি। তাঁদের শূন্যস্থান পূরণ করার জন্যই রদবদল করা হয়েছে। আর কতজন বাদ পড়ছেন, কতজনের নতুন অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে, তাও জানিয়েছেন।কুণাল ঘোষ আরও বলেন, রদবদল করা হয় দরকারে। তার সঙ্গে ভাবমূর্তি পরিবর্তনের কোনও বিষয় নেই। আমি মনে করি, দুটো সম্পূ্র্ণ ভিন্ন জিনিস। তা একসঙ্গে জড়িয়ে ফেলা ঠিক হবে না। আর মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রয়েছে বলেই তো তিনি বিপুলসংখ্যক আসনে জিতে বাংলার ক্ষমতায় এসেছেন তৃতীয়বারের জন্য।উল্লেখ্য, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিয়েছেন, সম্প্রতি নানা রটনা করা হচ্ছে তাঁর মন্ত্রিসভা নিয়ে। মন্ত্রিসভা নাকি ভেঙে দিয়ে নতুন করে তৈরি করা হবে- এমন অনেক কথা হচ্ছে। আমি বলছি মন্ত্রিসভার রদবদল হবে। তাঁর মন্ত্রিসভায় অনেগুলি পদ খালি পড়ে রয়েছে। সে কারণেই রদবদল করা হবে। আর চার-পাঁচজন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়বেন, তাঁদের সাংগঠনিক কাজে লাগানো হবে। দলের কাজে তাঁদের ব্যবহার করা হবে। পাঁচ-ছ’জনকে নতুন মুখ হিসেবে দেখা যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।