প্রতিনিধি,মুক্তিযোদ্ধাঃপার্থ-কাণ্ড নিয়ে যতই তোলপাড় হোক রাজ্য-রাজনীতিতে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাখির চোখ রাজ্যের পঞ্চায়েত ঔনির্বাচন। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের সংগঠমকে শক্তিশালী করার অভিযানে নেমে পড়েছেন তিনি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি প্রতিটি জেলা ধরে রূপরেখা তৈরি করে দিচ্ছেন আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের সাফল্যের লক্ষ্যে।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ক্যামাক স্রিসঙটে তিনি বিভিন্ন জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন। তিনি এক এক করে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে দলের রূপরেখা তৈরি করে দিচ্ছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করেছেন তাঁর এই পঞ্চায়েত অভিযান। ইতিমধ্যে তিনি জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ফেলেছেন। এদিন বৈঠক করলেন উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে।সমস্ত জেলা নেতৃত্বকেই তিনি কমন যে জিনিসটি বলছেন, তা হল ভোটে জিততে কোনও দাদাগিরি চলবে না। সংগঠনের জোরেই ভোটে দিততে হবে। যেসব বুথে সংগঠন দুর্বল, এখন থেকে সেইসব বুথে জোর দিন। মানুষের কাছে যান, তাঁদের পাশে থাকুন। আমাদের সরকার তাঁদের প্রতি কতটা সহানুভূতিশীল, আমাদের সরকারে কীভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছে প্রতিটি ক্ষেত্রে তা বোঝান। বাংলার জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের কথা প্রচার করুন আরও গুরুত্ব দিয়ে।অভিষেক সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিয়েছেন, এলাকা কোনওরকম দাদাগিরি বরদাস্ত করা হবে না। থানায় গিয়ে ক্ষমতা প্রদর্শন, প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ দল মানবে না। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে যেসব ভূরি ভুরি অভিযোগ ওঠে, বিরোধীরা যেগুলিকে ইস্যু করে, এবার যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয়। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে, আমাদের সরকার মানুষের পাশে রয়েছে, তাহলে দাদাগিরির দরকার কী!অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভালো মতোই জানেন ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটের মারাত্মক প্রভাব পড়ছিল ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে। এবার সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি চান না তারা। দলের নেতা-কর্মীদেকর আগেই এ বিষয়ে সতর্ক করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের প্রধান সেনাপতি। একুশের সাফল্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নজর কেড়েছিলেন। এবার ২০২৩-এর পঞ্চায়েত ও ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মাইলস্টোন স্পর্শ করতে চান তিনি।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত জেলা নেতৃত্বকেই বলেছেন জনসংযোগে জোর দিতে। শুধু জনসভায় ভিড় জমালেই হবে না। কেননা সভার ভিড়ই শেষ কথা নয়। ভোট বাক্সে বিপ্লব আনতে হবে। তার জন্য দরকার জনসংযোগ। সেজন্য রাস্তায় নামতে হবে। শুধু সোশ্যাল মিডিয়া পলিটিক্স করলে হবে না।তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। সম্প্রতি সমস্ত জেলাতেই সাংগঠনিক রদবদল করা হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, কোনও দলাদলি নয়। আপনি আজকে পদাধিকারী না হলেও কালকে হবেন। জানবেন, আপনার চাবিকাঠি হল কাজ। মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। তাহলেই দলের আপনার উত্থান হবে। শুধু দাদা ধরে কোনও লাভ হবে না।