প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে বাড়ছে উত্তাপ। বিরোধী দলে ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। বিজেডি, বিএসপির পর এবার সমাজবাদী পার্টির শরিক দলও এবার এনডিএ-র বিজেপি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন জািনয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিধানসভা িনর্বাচনে এসবিএসপি-সঙ্গে জোট গড়েই লড়েছিল সমাজবাদী পার্টি।আর কয়েকদিন পরেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার প্রচারে ব্যস্ত এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। কয়েকদিন আগেই কলকাতা সফর করে গিয়েছেন তিিন। তাঁর সমর্থনের পাল্লা যে ক্রমশ ভারী হচ্ছে সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিরোধী শিবিরের আরেক দলের সমর্থন পেয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। সমাজবাদী পার্টির শরিক দল এবাার সমর্থন জানিয়েছে ওপি রাজভরের দল। বিধানসভা নির্বাচনে ওপি রাজভরের দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েই আসন ভাগাভাগি করে লড়েছিল সমাজবাদী পার্টি। সেই বিরোধী শিবিরে থাকা দল বিধানসভা নির্বাচনের পরেই হঠাৎ করে মত বদল করল কেন? এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করার পরেই বিরোধী শিবিরে ফাটল চওড়া হতে শুরু করেছে। আগেই অবিজেপি একাধিক রাজনৈতিক দলের সমর্থন পেয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। বিজেডি সবার আগে সমর্থন জািনয়েছে দ্রৌপদী মুর্মুকে। বিজেডির সমর্থন পাওয়ার আরেকটি বড় কারণ হল দ্রৌপদী মুর্মু ওড়িশার বাসিন্দা। ওড়িশারপ আদিবাসী সমাজের প্রতিিনধি হয়েই তিনি প্রথম রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পেয়েছেন। সেকারণেই দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন জািনয়েছেন নবীন পট্ট নায়ক। অন্যদিকে বিএসপির সমর্থন পেয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি তাঁর সঙ্গে পরামর্শ না করেই যশবন্ত সিনহাকে প্রার্থী করেছেন। সেকারণেই তিনি দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন জানিয়েছে বলে দাবি মায়াবতীর।গেরুয়া গোষ্ঠীর দল হলেও বিজেপির বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। সেকারণেই মহারাষ্ট্র কংগ্রেস এবং এনসিপির সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েছিেলন কিন্তু বিজেপি হাল ছাড়তে চায়নি। দলের অন্দরে বিদ্রোহ তৈরি করে উদ্ধবকে মাথা নোয়াতে বাধ্য করেন। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন উদ্ধব ঠাকরে। একনাথ শিন্ডেকে পাশে িনয়ে শেষ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে সরকার গড়েছে বিজেপি। তারপরেই শিবসেনা সুপ্রিমোকে এক প্রকার বাধ্য করা হয় দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন জানানোর জন্য।বিরোধী শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থী হয়েছেন যশবন্ত সিনহা। টিএমসি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী িনর্বাচনে উদ্যোগী হয়েছিলেন। তারপরেই বিরোধীরা এক প্রকার সর্বসম্মত ভাবেই যশবন্ত সিনহাকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনিত করেন। তারপরেই দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণা করে বিজেপি। কয়েকদিন আগে টিএমসি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন দ্রৌপদী মুর্মুর জয়ের সম্ভাবনাই বেশি।