প্রতিনিধি,মুক্তিযোদ্ধাঃ দিদিকে বলো এখন অতীত, এবার এক ডাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেয়ে যাবেন আপনি। মানুষের যে কোনও অভাব-অভিযোগে আপনার পাশে অভিষেক। এমনই নয়া পরিষেবা নিয়ে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। নিজের সংসদীয় ক্ষেত্র ডায়মন্ড হারবারে প্রথম এই পরিষেবা চালু করছেন অভিষেক। এই পরিষেবার উদ্বোধন করলেন খোদ সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় করোনার সময় নিজের সংসদীয় ক্ষেত্র ডায়মন্ড হারবারে পরিষেবার ডালি সাজিয়ে হাজির হয়েছিলেন। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সমাজের হতদরিদ্র শ্রেণির মানুষের। তাঁর ডায়মন্ড হারবার মডেল সাড়া ফেলে দিয়েছিল গোটা রাজ্যে। এবারও তেমনই এক সাড়া জাগানো পরিষেবা উপহার দিতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।একেবারে ডায়মন্ড হারবার মডেলে নয়া পরিষেবা নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। এক ফোনেই পাওয়া যাবে অভিযেকের সাড়া। অভাব-অভিযোগ জানাতে পারবেন তাঁর সংসদীয় ক্ষেত্র ডায়মন্ড হারবারের মানুষ জন। এ জন্য তিনি চালু করেছেন হেল্প লাইন নম্বর। সেই হেল্প লাইন নম্বর হল ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭। এই নম্বরে ফোন করেই নিজের অভাব-অভিযোগ জানাতে পারবেন ডায়মন্ড হারবারবাসী। সঙ্গে সঙ্গে মিলবে সমাধান।সামনের বছরেই পঞ্চায়েত ভোট। তারপর ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাড়া জাগানো এক পরিষেবা নিয়ে হাজির হলেন। এই পরিষেবার নাম দেওয়া হয়েছে ‘এক ডাকে অভিষেক’। অর্থাৎ আপনি এক ফোন কলেই পেয়ে যাবেন অভিষেকের সাড়া। তাতেই সমাধান একেবারে হাতেনাতে।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৯-এ রেকর্ড ভোটে ডায়মন্ড হারবার থেকে জিতে আসার পর মানুষের সুখে-দুঃখে থেকেছেন পাশে। ডায়মন্ড হারবার থেকে তিনি কোনও সময়ের জন্যই মুখ ফিরিয়ে নেননি। এখন আবার ডায়মন্ড হারবারে নতুন ফুটবল ক্লাব তৈরি করে সাড়া জাগিয়েছেন যুব সমাজের মধ্যে। সেখানে দলমত নির্বিশেষে সমস্ত মানুষকে শামিল করতে তিনি প্রয়োজনীয় ভূমিকা নিয়েছেন।মানুষের একটা কমন অভিযোগ ছিল ভোটের পর জন প্রতিনিধিদের দেখা যায় না এলাকায়। অভিষেক সেই অভিযোগের নিবৃত্তি ঘটাতে চেয়েছেন। নিজে মডেল হয়ে দেখাতে চেয়েছেন সদিচ্ছা থাকলে মানুষের পাশে থাকা যায়। একের পর এক মডেল পরিষেবা চালু করে অভিষেক বুঝিয়ে দিয়েছেন নির্বাচনী রাজনীতি তিনি করেন না। সারা বছর মানুষের পাশে থাকার জন্য তিনি বদ্ধপরিকর। সেই কাজটা তিনি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।অভিষেক মনে করেন, সারা বছর যদি মানুষের সঙ্গে থাকা যায়, মানুষের দুঃখের সাথী হওয়া যায়, তবে তাদের কাছে ভোটের জন্য আবেদন করতে হয় না। আপনি হয়ে উঠবেন অটোমেটিক চয়েস। যেমন কাজ করবেন, তেমনই ফল আপনি লাভ করতে পারবেন। তিনি চান, তাঁর মতো বাকিরাও নিজের নিজের সংসদীয় ক্ষেত্রে একইরকম সক্রিয় থাকুন।