প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা সম্প্রতি বিরোধী প্রার্থী হিসাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন। নির্বাচনে প্রার্থী হবার আগে তিনি নিয়ম অনুযায়ী দল ত্যাগ করেন। প্রশ্ন উঠছিল যে এবার বর্ষীয়ান নেতা কী করেন সেদিকে দেখার। তিনি কি আবার তৃণমূলে যোগ দেবেন? আজ মঙ্গলবার তিনি বললেন যে তিনি অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন না ।৮৪ বছর বয়সী সিনহা আরও বলেছেন যে তিনি সামনের জনজীবনে কী ভূমিকা পালন করতে চান সে বিষয়ে তিনি এখনও সিদ্ধান্ত নেননি। তিনি বলেন যে, “আমি স্বাধীন থাকব এবং অন্য কোনও দলে যোগ দেব না।” সিনহা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সহ-সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তাই তাঁর দিকে নজর ছিল যে এত বর্ষীয়ান নেতা কী করেন।সিনহা কংগ্রেস এবং টিএমসি সহ অ-বিজেপি দলগুলির যৌথ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু সোমবার ভারতের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিয়েছেন। তিনি টিএমসি নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ করছেন কিনা জানতে চাইলে সিনহা বলেন যে, না তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আর যোগাযোগ করেননি।তিনি আরও বলেন, “কেউ আমার সাথে কথা বলেনি, আমিও কারও সঙ্গে কথা বলিনি।” তিনি বলেন আমি “ব্যক্তিগত স্তরে” একজন টিএমসি নেতার সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। তবে এই বিষয়ে কোনও কথা হয়নি। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাকে দেখতে হবে আমি কী ভূমিকা পালন করব (জনজীবনে), কতটা সক্রিয় থাকব। ৮৪ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে আমার। তাই এটা বড় সমস্যা। আমাকে দেখতে হবে আমি কতক্ষণ এই রাজনীতি চালিয়ে যেতে পারি।”সিনহা, বিজেপির প্রাক্তন নেতা হলেও। তিনি এই নব্য বিজেপির বরাবর সমালোচনা করে এসেছেন। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকদিন আগে ২০২১ সালের মার্চ মাসে তিনি টিএমসিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপি ছেড়েছিলেন ২০১৮ সালে।এর আগে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার আগেই টুইট করে তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন যশবন্ত সিনহা। টুইটে যশবন্ত সিনহা লিখেছিলেন যে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে তিনি দল থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। টিএমসিতে যে সম্মান তাঁকে দেওয়া হয়েছে তার জন্য তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে তিনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্তকে টিএমসি সুপ্রিমো সমর্থন জানাবেন বলে টুইটে লিখেছিলেন তিনি। আরও শক্তিশালী বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যেই তিনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।