প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ একেতে অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক, তারই মধ্যে তার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে জাত ও ধর্মে শংসাপত্রের উল্লেখ নিয়ে তপ্ত রাজনীতি। এদিন আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং প্রশ্ন তুলতেই বিরোধীরা বিষয়টি নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করে। যদিও সেনাবাহিনীর তরফে এই সংক্রান্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।টুইটে নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং অভিযোগ করেন, দেশের সামনে প্রকাশ্যে চলে এসেছে মোদী সরকার খারাপ মুখ। তিনি প্রশ্ন তোলেন মোদী সরকার কি পিছিয়ে পড়া, দলিত ও আদিবাসীদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগকে যোগ্য বলে মনে করে না। তিনি অভিযোগ করেন দেশের ইতিহাসে প্রথমবার সেনাবাহিনীর নিয়োগে আবেদনকারী কোন জাতের তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। অগ্নিবীর না জাতিবীর বানাতে চাইছেন মোদী, সেই প্রশ্নও করেন তিনি।যদিও বিজেপির তরফে এই অভিযোগের জবাব দেওয়া হয়েছে। বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের প্রধান অমিত মালব্য সঞ্জয় সিংকে পাল্টা নিশানা করে বলেছেন, সেনাবাহিনীর তরফে ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দাখিল করে
বলা হয়েছিল নিয়োগে জাতি, ধর্ম কিংবা অঞ্চলগত বৈষম্য নেই। তবে প্রশাসনিক এবং কার্যক্ষেত্রে সুবিধার জন্য একটি রেজিমেন্টে কোন এলাকার কতজন রয়েছে সেই বিষয়টি লক্ষ্য রাখা হয়।বিজেপির তরফে জাবি করা হয়েছে সেনাবাহিনীর রেজিমেন্টার ব্যবস্থা ব্রিটিশদের সময় থেকেই চলে আসছে। স্বাধীনতার পরে ১৯৪৯ সালে ব্রিটিশ নিয়মকে সেনাবাহিনীর নিয়মে পরিবর্তন করা হয়। মোদী সরকার এব্যাপারে কিছুই করেনি
বলেও দাবি করা হয়েছে বিজেপির তরফে। সঞ্জয় সিং-এর মতো লোকেরা ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঝগড়া তৈরি করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেছে বিজেপি।এদিন আপ নেতা সঞ্জয় সিং সেনাবাহিনীর নিয়োগে জাত ও ধর্মের বিষয়টি প্রথমবার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করার পর থেকে প্রায় সব বিরোধী দল এব্যাপারে মোদী সরকারকে নিশানা করেছে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় থেকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন। যদিও প্রাক্তন সেনা কর্তারা বলছেন, অন্য সব সরকারি নিয়োগের মতো সেনাবাহিনী নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও জাত ও ধর্মের কথা জানতে চাওয়ার রীতি পুরনো। রাজনীতিকরা নিজেদের স্বার্থে এব্যাপারে বিভ্রান্তি তৈরি করছেন বলেও
কোন কোনও প্রাক্তন সেনা আধিকারিক মন্তব্য করেছেন। প্রসঙ্গত সেনাবাহিনীর তরফেও এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।