নিজস্ব প্রতিনিধি(সতীশ কুমার): জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের উপর গুলি চালানোর অভিযোগে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তিকে। জাপানের পুলিশ সঙ্গেঈ সঙ্গে তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে। ৪১ বছর বয়স অভিযুক্তের। আবেকে মারতে শটগান ব্যবহার করেছিলেন তিনি। তাঁকে ইতিমধ্যে হফাজতে নিয়ে জেরা করতে শুরু করেছে পুলিশ।জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সাত সকালে ছড়িয়ে পড়েছে খবর। ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে। কারণ জাপানের জনপ্রিয়তম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শিনজো আবে ২০২০ সালের অগস্ট মাসে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। তারপর থেকে রাজনীতির অন্তরালেই ছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে একটি নির্বাচনী প্রচারে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখোনই তাঁকে গুলি করা হয়।শিনজো আবেকে লক্ষ্য করে পর পর ২িট গুলি চালানো হয়েছিল। প্রথম গুলিটি কানের পাশ ঘেঁেস বেরিয়ে যায়। আর তার পরের গুলিটি লাগে সোজা বুকে। তারপরেই মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে শ্যুটারকে। যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার নাম টেটসুয়া ইমাগামি। বয়স ৪০ বছর। মধ্য বয়স্ক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি শটগান উদ্ধার করেছে পুলিশ। দেশি বন্দুক তাঁর হাতে ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন জাপানের নৌসেনায় একসময় কাজ করতেন তিনি। কোন উদ্দেশ্য আবের উপরে গুলি চালানো হয়েছে তা নিয়ে জেরা শুরু করেছে পুলিশ।ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের উপরে গুলি চালানোর ঘটনা। তাতে দেখা গিয়েছে পরপর দুটো গুলির শব্দ শোনা যায়। তারপরেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আবে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ঘিরে ফেলেন। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান। সূত্রের খবর গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে নাকি হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তাঁর। কাজেই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।আশঙ্কা করা হচ্ছে শিনজে আবো মারা গিয়েছেন। কিন্তু জাপানের সরকারিভাবে সেকথা জানানো হয়নি। তবে জাপানের অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যমই দাবি করছে তিনি মারা গিয়েছেন। শিনজো আবের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আন্তর্জাতিক মহলে এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।