প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ কাজ করতে গেলে ভুল হতেই পারে। কাজ করেন বলেই ভুল হয়। তা নিয়ে সমালোচনা ইদানিং বেড়ে গিয়েছে। নেতিবাচক আলোচনা এবং ভাবনা চিন্তা থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই ভাল। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে ছাত্রদের বার্তা দিয়েছেন মমতা। তিনি ছাত্রদের গড়তে শিক্ষকদের অবদানের কথাও এদিন তুলে ধরেছেন। সম্প্রতি রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে চাপে কয়েছে রাজ্য সরকার। একাধিক নেতা মন্ত্রীকে জেরা করেছে সিবিআই।নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছাত্রদের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড বিতরণ সহ একাধিক প্রকল্প এবং প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধন করেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই মমতা বলেছেন, ‘কাজ করলে ভুল হয়। যাঁরা কাজ করেন তাঁদেরই ভুল হয়। এই নিয়ে অহেতুক নেতিবাচক সমালোচনা চলে। ছোটদের জন্য কবিতা লিখলে তা নিয়ে সমালোচনা হয়। ছোটদের জন্য কবিতা লিখতে গেলে ছোটদের মত হয়।’ ইদানিং নেতিবাচক সমালোচনা বেড়ে হিয়েছে বলে এদিন মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শিক্ষার উন্নয়নে কাজ
রাজ্যে ১০ বছরে শিক্ষার উন্নয়নে রাজ্য সরকার যে কাজ করেছে তার খতিয়ান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন গত ১০ বছরে রাজ্যে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। ৫১টি কলেজ হয়েছে। ছাত্রদের পড়াশোনায় যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য চালু করা হয়েছে স্টু়েডন্ট ক্রেডিট কার্ড। সেই সঙ্গে কন্যাশ্রী প্রকল্প তো রয়েইছে। রাজ্যে ৮০ লক্ষ ছাত্রী কন্যাশ্রী পেয়েছে। ছাত্রদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। আইএস, আইপিএস, ডব্লুবিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। সেখানে কম খরচে পড়াশোনা করার ব্যবস্থা রয়েছে।
দেশে থাকার বার্তা মমতার
রাজ্যে বহু পড়ুয়া বিদেশে পড়তে চলে যাচ্ছেন। সেখানেই তাঁরা চাকরি নিয়ে থেকে যাচ্ছেন। তাঁদের বার্তা দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেছেন। যাঁরা বিদেশে পড়াশোনার জন্য চলে যাচ্ছেন তাঁরা পড়াশোনা শেষ করে ফিরে আসুন দেশে। যেখানে বড় হয়েেছন সেখানকার জন্য কাজ করুন। সেখানকার মানুষের কথা ভাবুন। বিদেশে থেকে গেলে চলবে না। দেশের মানুষের কথা ভাবতে হবে। যে মেধা নিয়ে তাঁরা বিদেশে যাচ্ছে সেই মেধা দেশের কাজে লাগানোর বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিক্ষা দুর্নীতিতে অস্বস্তি
এদিকে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতিক অভিযোগে চাপে রয়েছে রাজ্য সরকার। একাধিক নেতা মন্ত্রী জড়িক থাকার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই সিবিআই একাধিক নেতা মন্ত্রীকে জেরা করেছেন। এদিকে আবার আজ মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি হয়েেছ। এক আগে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে জেরা করেছে সিবিআই। আদালতের নির্দেশে খারিজ হয়ে গিয়েছে তাঁর মেয়ের চাকরি। শাসক দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও জেরা করেছেন তদন্তকারীরা।