প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ এসএসসি-তে স্বজন পোষণ করছেন কমিশনের সদস্যরাও, তৈরি থাকুন’, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এমনটাই মন্তব্য করলেন করলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উল্লেখ্য শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রকাশ্যে এসেছে।নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর। দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে অঙ্কিতা অধিকারীকে। নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ্য চট্টোপাধ্যায়েরও। তবে এবার এসএসসি-র আইনজীবীকে সাফ জানালেন এসএসসি নিয়োগে স্বজন পোষণ করেছেন খোদ কমিশনের সদস্যরাও। তাই তাঁরা যেনও এবার তৈরি থাকে, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার আদালতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এসএসসি-র একাধিক সদস্য স্বজনপোষণ করেছেন। আত্মীয় পরিজনদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তাঁরা। গ্রুপ ডি থেকে সহকারী শিক্ষক পর্যন্ত এভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। আমার কাছে সব নথি রয়েছে। ইচ্ছে করলে আমি এখনই তাঁদের নাম বলতে পারি। এসএসসি-র এক সদস্য নিজের বোনকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। এদের তৈরি থাকতে বলুন,এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এসএসসি-র আইনজীবীকে স্পষ্টভাবে জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসি দুর্নীতিতে শুধুমাত্র সরকারের দ্বারা বেআইনিভাবে নিযুক্ত উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীর্তির প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর। দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে অঙ্কিতা অধিকারীকে। এতদিন অবধি তিনি যে বেতন পেয়েছেন, তা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। দুই দফায় তা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিতে হবে জানানো হয়েছে। এরপরে পরেই এসএসসিতে ফের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সিদ্দি গাজি নামে এবার এক কর্মরত অঙ্কের শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। এসএলএসটি নবম এবং দশম শ্রেণির অঙ্কের শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেয়েছিলেন সিদ্দি গাজী। কিন্তু মামলাকারী অনুপ গুপ্তার অভিযোগ, তার থেকে অনেক পরে নাম ছিল সিদ্দি গাজীর।তালিকায় তার থেকে ৭৫ জনের পরে নাম ছিল সিদ্দি গাজীর। অথচ তাঁকেই চাকরি দেওয়া হয়ে, বলে গুরুতর অভিযোগ ওঠে।মূলত যারা চাকরি পাননি, অসন্তুষ্ট হয়েছেন, তাঁদের জন্য সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি করা হচ্ছে, এমনটাই আগে জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। এর আগে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই নিয়োগ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। এদিন বিচারপতি বলেন, ‘এটা আসলে একটা অসুখকে ঢাকতে ঢেকে আনা হচ্ছে।’ বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ‘এই সব নিয়োগ করার সময়, নতুন করে কোনও দুর্নীতি হবে না, সেই প্রতিশ্রুতি কে দেবেন।’ ইতিমধ্য়েই সিদ্দি গাজী নামে ওই শিক্ষকের মামলার নথি সিবিআই-কে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।একের পর এক অভিযোগ উঠলেও, এই মুহূর্তে এসএসসি মামলা কড়া হাতে সামলাচ্ছে কলকাতা হাইকোর্ট।