প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ উদ্ধার হয়েছে ২১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। তবে এটা অন্তত ১২০ কোটি টাকার দুর্নীতি! আদালতে এমনটাই জানাল ইডি। ইডির তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস বি জি রাজু ভার্চুয়াল সওয়ালে এই দাবি করেছেন। বাকিটা উদ্ধারে ও টাকার উৎস খুঁজতে অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করছে ইডি। এস বি জি রাজু ভার্চুয়াল সওয়ালে ‘১২০ কোটি টাকার দুর্নীতি’ বলে দাবি করে বলেন, পিজিতে ভর্তি থাকাকালীন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর অফিসারদের হুমকি দিচ্ছেন। তদন্তেও সহযোগিতা করছেন না। ভুবনেশ্বর এইমস বলেছে, পার্থবাবুর শারীরিক অবস্থা হাসপাতালে ভর্তি করার মতো নয়। সেক্ষেত্রে তদন্তের স্বার্থে তাঁর ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আরও ১৩ দিনের ইডি হেফাজতের দাবি জানান তাঁরা। আদালতে ইডি এও জানায়, ১২০ কোটির মধ্যে ২১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাকিটা উদ্ধারে ও টাকার উৎস খুঁজতে অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার প্রয়োজন আছে। কারণ, এই বাকি টাকা কলকাতা শহরেই এখনও রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
এছাড়াও অর্পিতা ও পার্থবাবুর নামে একাধিক যৌথ সম্পত্তির দলিল হাতে এসেছে বলে জানিয়েছে ইডি। তার এক একটির দাম ২-৩ কোটি টাকা। এছাড়াও তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তদন্তে এক প্রোমোটার এবং এক বস্ত্র ব্যবসায়ীর নামও উঠে এসেছে। তাঁদের ব্যবসায় এই দুর্নীতির টাকা খেটেছে।
যদিও পার্থবাবু ও অর্পিতা আইনজীবীদের অভিযোগ, ইডির এই গ্রেপ্তারি বেআইনি। অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তোলার পাশাপাশি তাঁরা জানান, মূল মামলার তদন্ত চলছে সিবিআইয়ের অধীনে। তাদের সঙ্গে বরাবর সহযোগিতা করেছেন পার্থবাবু। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ ইডি কেন? এমনই প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।