প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ পাহাড়ে বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার শাসনের অবসান ঘটেছে। পাহাড় এবার অনীত থাপার বিজিপিএমের দখলে। অনীতকে এবার ফুল সাপোর্ট দিতে আসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি থাকবেন অনীতের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। পাহাড় নিয়ে তিনি কী বার্তা দেন, তার দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহলে।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন পাহাড় রাজনীতিতে মঙ্গলবার বিরাদ বদল আসতে পারে। অন্য খাতে বয়ে যোতে পারে পাহাড়ের রাজনীতি। ১২ জুলাই অর্থাৎ মঙ্গলবার জিটিএর এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান পদে শপথ নেবেন অনীত থাপা। তার আগে চারদিনের সফরে পাহাড়ের উদ্দেশে রওনা দিয়ে সোমবার বিকেলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে গিয়েছেন।সোমবার দুপুরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সড়ক পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিং রওনা দেন। তিনি মঙ্গলবার গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ-র শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। থাকবেন কবি ভানুভক্তের জন্মজয়ন্তী পালন অনুষ্ঠানেও। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।জিটিএ-তে নির্বাচিত ৪৫ জন সদস্যকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনার অজিতরঞ্জন বর্ধন। জিটিএর এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান পদে শপথ নেবেন অনীত থাপাও। এই অনুষ্ঠানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে পাহাড়বাসী। এরপর ম্যালে কবি ভানুভক্তের জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই সফরে রয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ইন্দ্রনীস সেন।জিটিএ বোর্ডের সম্ভাব্য চিফ হিসেবে অনীত থাপা নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গিয়েছেন। তারপর তিনিই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর শপথে উপস্থিত থাকতে পারেন। উপস্থিত থাকতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে গিয়েছেন পাহাড়ে। অভিষেকও যেতে পারেন বলে সূত্রের খবর।তৃণমূল পাহাড়ে এখন থেকে অনীত থাপার দল বিজিপিএম বা ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চাকে সমর্থন দেবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। সংখ্যার বিচারে বিজিপিএমের কারও সমর্থনের প্রয়োজন না হলেও রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে অনীত থাপা সখ্যতা রেখেই চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল এখন বাইরে থেকে সমর্থন করবে নাকি অনীত থাপার নেতৃত্বীধীন জিটিএ বোর্ডের অংশ হবে, তা-ই দেখার।তৃণমূল অনীত থাপার নেতৃত্বাধীন জিটিএ বোর্ডে অংশ নিলে পাহাড়ে একটা নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে। পাহাড়ে এবার বিজেপিকে হারাতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল। তাই ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার অনীতের সঙ্গে সখ্যতাকে দৃঢ় করে ২০২৪-এর লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ নিতে পারে তারা। এখন দেখার অনীত থাপার সঙ্গে বিনয় তামাংকে জুড়ে দিয়ে নতুন সমীকরণ রচনা করতে পারেন কি না মমতা।