প্রতিনিধি,মুক্তিযোদ্ধাঃ-
২৯শে মে জিটিএ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে, তারই প্রতিবাদে আজ থেকে অনশনে বসতে চলেছেন বিমল গুরুং। প্রথম থেকেই জিটিএ নির্বাচনের প্রতিবাদ জানিয়েছিেলন তিনি। দার্জিলিঙের পাতলেবাসে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই অনশনে বসার কথা বিমল গুরুংয়ের।আজ থেকে অনশনে বসছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। সকাল ১১টা থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে অনশন। প্রথম থেকেই জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করেছিেলন তিনি। গতকাল নির্বাচন ঘোষণার পরেই বিমল গুরুং টানা ৫ ঘণ্টা মোর্চার সঙ্গে বৈঠক করেন, তার পরেই মোর্চা সুপ্রিমো অনশনে বসার কথা ঘোষণা করেন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাহাড় সফরের সময়েই জিটিএ নির্বাচনের দিন নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী নিজে জানিয়েছিলেন শীঘ্রই জিটিএ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করবেন তিনি। তারপরে গতকালই সর্বদল বৈঠকের শেষে জিটিএ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়। ২৬ জুন জিটিএ নির্বাচন হবে পাহাড়ে আর ভোট গণনা ২৯ জুন।
২৭ মে নির্বাচনী নির্দেশিকা জারি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। নবান্নের পক্ষ থেকে আগেই এই নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। ১০ বছর পর পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হতে চলেছে। যদিও জিটিএ-র বিকল্প দাবি করেছি মোর্চা কিন্তু তাঁদের সেই দাবিকে মান্যতা দেয়া হয়নি।শুধু গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নয়, জিটিএ নির্বাচনের আপত্তি জানিয়েছি জিএনএলএফও। জিটিএ অসাংবিধানিক সংস্থা বলে দাবি করেছিেলন তাঁরা। বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা প্রকাশ্যে এই নির্বাচনের বিরোধিতা করে বলেছেন, ‘জিটিএ একটি অসাংবিধানিক সংস্থা, না এর কোনও ক্ষমতা আছে, না এর কোনও আইন প্রনয়নের ক্ষমতা আছে এবং এটা গোর্খা বিরোধী। তাই এই নির্বাচনে যাচ্ছি না। উল্টে কী ভাবে এই ভোট হয়, তা নিয়ে আইনের পথে যাবো। রাস্তায় নেমে আন্দোলন হবে।’ এদিকে জিটিএ নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছেন অনীত থাপা এবং অজয় এডওয়ার্ড।দার্জিিলঙে ফিরেছেন বিমল গুরুং। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে সকলকে চমকে দিয়েই শাসক দলকে সমর্থন জানিয়ে প্রকাশ্যে আসেন বিমল। তারপর ধাপে ধাপে পাহাড়ে ফেরা। ভোটের আগে বিমল গুরুংয়ের পাহাড়ে ফেরা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তারপরেই মোর্চার অন্দরে বিমলকে নিয়ে অসন্তোষ শুরু হয়। এক প্রকার দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল গোটা দল। শেষে বিনয় থাপা যোগ দেন শাসক দলে তার পর থেকে মোর্চার নেতত্বে রয়েছে বিমল গুরুং। জিটিএ নির্বাচন নিয়ে বিমল গুরুংয়ের বিরোধিতা নতুন করে পাহাড় অশান্ত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।