প্রতিনিধি,মুক্তিযোদ্ধাঃ-
তিনবছর দুমাসের মায়া কাটিয়ে অর্জুন সিং ফিরেছেন পুরনো দল তৃণমূলে।এবার তিনি গেরুয়া শিবিরের আবর্জনার কথা তুলে ধরছেন। দ্বিতীয়বার দলবদলের সময়েই তিনি বলেছিলেন এরাজ্যে ভোটে জিততে গেলে সংগঠনই বড় কথা। আর দলবদলের পরের দিন তিনি অভিযোগ করলেন, বিজেপি নেতৃত্ব তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখতেন।এদিন অর্জুন সিং বলেছেন, তাঁর নিজের ব্যারাকপুর লোকসভা এলাকার মধ্যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের তালিকা দলীয় নেতৃত্বের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ছয়মাস আগে। কিন্তু দলীয় নেতৃত্বে তা মানায় ব্যারাকপুরের সাতটির মধ্যে ছটিতেই পরাজিত হয়েছে বিজেপি। এছারা টিটাগড়ে চন্দ্রমনি শুক্লাকে প্রার্থী করা হলেও, তাঁর বিরুদ্ধে বাঙালি-বিহারি প্রশ্ন তুলে বিজেপির মধ্যেই বিভাজন তৈরি করা হয়েছিল।এদিন তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, এক জায়গার বিজেপি কর্মীদের কাজ দেওয়া হচ্ছে উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেছেন, ভাটপাড়ার লোককে কামারহাটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, যেখানে পশ্চিমবঙ্গে সংগঠন ছাড়া জেতা যায় না, সেখানে কোনও কর্মীকে এলাকার বাইরে পাঠানো নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। তিনি বলেছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগেই পশ্চিমবঙ্গে দলের অবস্থা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। সেখানেও হার যে নিশ্চিত তাও উঠে এসেছিল।অর্জুন সিং সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেছেন, তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই তাঁকে তৃণমূলের গুপ্তচর হিসেবেই মনে করা হত। বাংলার বিজেপি নেতৃত্বে তাঁকে সবসময়ই সন্দেহেত চোখে দেখত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। নামে মাত্র বিজেপিতে ছিলেন, কিন্তু বিশ্বাস করা হত না। দলের তরফে তিন জেলার দায়িত্বের কথা বলা হলেও, কাজের সময় তাঁকে কোনও কিছু জিজ্ঞাসা করা হত না। এছাড়াও ব্যারাকপুরে ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করতে হচ্ছিল। তাই দল যখন পাশে থাকছে না, তখন বিজেপিতে আর থেকে লাভ নেই। সেই কারণেই তৃণমূলে যোগের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি।এদিন অর্জুন সিং বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বকে ফের একবার অযোগ্য বলে কটাক্ষ করেছেন। যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তাঁদের থেকে ভাল হলে অন্য কথা। কিন্তু যাঁরা বুথ সম্পর্কে কিছু জানে না, তাঁরা যদি বুথ নিয়ে জ্ঞান দেয়, তাহলে তো মুশকিল। বাংলায় যেখানে মাটিতে নেমে কাজ করতে হয়, সেখানে বুথ না চিনেই একাধিক বড় পদ নিয়ে বসে আছেন নেতারা।
এদিন তিনি বলেছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। ব্যারাকপুর এলাকায় তৃণমূলের নামে কোনও তোলাবাজি বরদাস্ত করা হবে না। এছাড়াও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাপ্রদাশ করেছেন।