প্রতিনিধি:-
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় বিরোধীরা ঝাড়গ্রামের দলীয় সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী একইসঙ্গে বিজেপি,সিপিএম এবং কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, হেরে গিয়ে বাংলার বদনাম করার চেষ্টা করছে বিজেপি। অন্যদিকে সিপিএম-এর দিকে নিশানা করে তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতির কথা মুখে না এনেই বলেন, আগে তো একটা চিরকূট দিয়ে চাকরি হত। আর চিরকূট দিয়েই বদলি করে দিত। তিনি প্রশ্ন করেন ৩৪ বছর ধরে কী করেছে সিপিএম? এব্যাপারে তিনি খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানান। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, চ্যাম্পাট ওপেন করছেন। আগে তিনি ভদ্রতা করেছেন তা নিয়ে যদি কেউ দুর্বলতা মনে করেন, তা হলে ভুল করবেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওরা ভেবেছে কী? কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তুঘলকি কাণ্ড চালিয়ে যাবে? তিনি বলেন, এদেশে কারও বাঁচার অধিকার নেই, কারও স্বাধীনতা নেই, সব নষ্ট করে দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোক একটা একটা করে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। এখানে হেরে গিয়ে ভয় পাচ্ছে। ২০২৪-এর লোকসভা জিততে হবে না? তাই এখন থেকেই মিথ্যা কথা বলছে বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে এই রাজ্যে আরও শিক্ষা দেওয়ার ডাক দেন তিনি।গত কয়েকদিনের মতোই মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, কাজ করতে গিয়ে ভুল ত্রুটি হতেই পারে তা সংশোধনের সুযোগ দেওয়া উচিত। আইন করেও বিহিত করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গায়ের জোরে তৃণমূলকে স্তব্ধ করে দেবে, তা হলে জেনে রাখবেন তৃণমূলকে স্বব্ধ করা যায় না।স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে সারা রাজ্যে শোরগোল। বিষয়টিকে সামনে রেখে সিপিএম থেকে বিজেপি সবাই পথে নেমেছে,একের পর এক কর্মসূচি নিচ্ছে। সেই সময় তৃণমূল বারেবারেই সিপিএম আমলের কথা বলছে। ১১ বছর আগে শেষ হওয়া সিপিএম-এর শাসনের দুর্নীতির অভিযোগকে দিয়েই মোকাবিলা করতে চাইছে তৃণমূল। ঝাড়গ্রামের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী দলীয় কর্মীদের দুর্নীতি মুখ্য থাকার বার্তাও দেন,তিনি বলেন, কোনও প্রকল্পের নির্ধারিত টাকা না পেলে রাজ্যবাসী তাঁকে সরাসরি চিঠি লিখে জানাতে পারেন। এব্যাপারে তিনি আইন ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন।