প্রতিনিধি:-
হাইকোর্টে প্রাথমিক ভাবে ধাক্কা খেলেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে তাঁর মামলাটি শোনার জন্য আবেদন করেছিলেন কিন্তু বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, এই মামলা থেকে তারা অব্যাহতি চাইছেন।মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে সিবিআই-এর নিজাম প্যালেসের দফতরে হাজিরা দিতে বলেছিল কিন্তু মন্ত্রী ছিলেন কোচবিহারে। তিনি মঙ্গলবার পদাতিক এক্সপ্রেসে কলকাতায় আসেন। এদিন সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপরে স্থগিতাদেশ চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন মন্ত্রী। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে তাঁর আবেদন পৌঁছয় কিন্তু বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, তাঁর এই মামলা শুনবেন না। এই মামলা থেকে অব্যাহতি চায় বিচারপতি ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।জানা গিয়েছে, যে সময় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মঙ্গলবার যখন এই রায় দেন, সেই সময় মন্ত্রী পরেশ অধিকারী ছিলেন মেখলিগঞ্জের জনসভায়। সভা শেষ হওয়ার পরেই মেখলিগঞ্জ সার্কিট হাউসে তিনি কোচবিহার জেনা তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপরেই তিনি পদাতিক এক্সপ্রেসে কলকাতার দিকে রওনা হন। সঙ্গে ছিলেন মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীও। যিনি পার্সোনালিটি টেস্ট না দিয়েও স্কুলে চাকরি পেয়েছেন বলে হাইকোর্টে মামলা চলছে।যদিও এদিন সকালে পদাতিক এক্সপ্রেস কলকাতায় পৌঁছলে মন্ত্রী পরেশ অধিকারী কিংবা তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী এবং দেহরক্ষীদের পাওয়া যায়নি। ট্রেনের কর্মীরা জানিয়েছেন, বেডরোল গেওয়ার সময় তাঁরা শেষবার মন্ত্রীকে দেখেছিলেন। এরপর সকালে ট্রেনের অ্যাটেন্ডেন্ট কিংবা আশপাশে থাকা অন্য যাত্রীরা মন্ত্রী কিংবা তাঁর মেয়েকে দেখতে পাননি। তাঁরা ছিলেন ট্রেনের এইচ ওয়ান কামরায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনি বর্ধমানে নেমে সড়ক পথে কলকাতায় আসেন এবং হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান।২০১৮ সালে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বাম আমলের খাদ্যমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। আর তৃণমূলের যোগ দেওয়ার কিছুদিন পরেই কোচবিহারের স্কুলে চাকরি পান পেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। অভিযোগ একদিকে যেমন অঙ্কিতা পার্সোনালিটি টেস্ট দেননি, অন্যদিকে তাঁর থেকে বেশি নম্বর পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের বঞ্চিত করে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এসএসসির মাধ্যমে চাকরি না পাওয়ার মধ্যে ববিতা সরকার নামে একটি মেয়ে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন।