প্রতিনিধি,মুক্তিযোদ্ধাঃ- শিয়ালদহ স্টেশনে নামলেন না রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী! কার্যত রহস্য বাড়িয়ে উধাও তিনি। কিন্তু কোথায় নামলেন তিনি? যা নিয়ে তীব্র ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রীকে সিবিআই তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।মূলত একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। যেখানে সরাসরি রাজ্যের মন্ত্রীর যোগ রয়েছে বলে মনে করছে হাই কোর্ট। নিয়োগের তালিকায় থাকা অন্য প্রার্থীকে সরিয়ে মন্ত্রীর মেয়ের নাম রয়েছে।এই মামলাতেই রাত আটটার মধ্যে পরেশ অধিকারীকে সিবিআই তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। রাত আটটার মধ্যেই তাঁকে ডাকতে হবে বলেও জানায় হাইকোর্ট কিন্তু সিবিআই আধিকারিকরা পরেশ অধিকারীর কোনও খোঁজই করতে পারেনি। ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা পাওয়া যায়নি। ফোন বন্ধ ছিল। এরপর ইমেল এবং এসএমএসের মাধ্যমে সিবিআই তাঁদের নোটিশ পাঠান মন্ত্রীকে কিন্তু গভীর রাত পর্যন্ত কোনও যোগাযোগ করা হয়নি সিবিআইয়ের সঙ্গে।তবে একদিকে যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর খোঁজ চালাচ্ছেন ঠিক সেই সময় কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি নিজের বিধানসভা কেন্দ্রেই ছিলেন মন্ত্রী। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই রাতারাতি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। পদাতিক এক্সপ্রেসে চেপে আসেন। সেই মতো সকালে শিয়ালদহ স্টেশনে নামার কথা ছিল পরেশ অধিকারীর, অবশ্যই তাঁর সঙ্গেই শিয়ালদহে নামার কথা ছিল মেয়ে অঙ্কিত অধিকারীরাও। কিন্তু রহস্য বাড়াচ্ছে তাঁদের গতিবিধি।মেয়ে অঙ্কিতাকে নিয়েই মঙ্গলবার রাতে রওনা হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী কিন্তু শিয়ালদহে ট্রেন ঢুকলেও নামলেন না মন্ত্রী, নেই তাঁর নিরাপত্তা কর্মীরাও। তাহলে কোথায় নামলেন তারা? মনে করা হচ্ছে শেষবার বর্ধমানে থেমেছিলো ট্রেন সেখানেই হয়তো মেয়েকে নিয়ে নেমে পড়েছেন মন্ত্রী। কিন্তু কেন নামলেন? সাংবাদিকদের এড়াতে কি? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ সকাল থেকেই স্টেশনে সাংবাদিকদের ভিড় ছিল স্টেশনে। কিন্তু একজন মন্ত্রী আসছেন কিন্তু সেভাবে তৎপরতা চোখে পড়ছিল না। এমনকি মন্ত্রীর গাড়িও দীর্ঘক্ষণ। আর এরপরেই সরজমিনে সাংবাদিকরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গেলে দেখতে পান, ট্রেন স্টেশনে ঢুকলেও, নেই মন্ত্রী!যদিও মংলবার ট্রেনে ওঠার আগে পরেশ অধিকারী জানান, এই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। এখনও আদালতের রায়ের কপিও তিনি দেখেননি বলে মন্তব্য করেন। পাশাপাশি এই নির্দেশের বিররুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যাবেন বলেও মন্ত্রী ঘনিষ্ঠমহলে জানান। বুধবারই এই বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও খবর।