প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধিঃ
সাড়ে তিনঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ সামলে নিজাম প্যালেসের সিবিআই (CBI) অফিস থেকে বেরোলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । এরপর তিনি সোজা চলে যান বেহালায় । সিবিআই সূত্রের খবর এদিন অনেক প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বয়ান মিলিয়ে দেখার পরে তাঁকে ফের ডাকা হতে পারে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিবিআই দফতরে গিয়ে পৌঁছন বিকেল ৫.৪০ নাগাদ। সন্ধে ছটার মধ্যে তাঁকে সিবিআই-এর দফতরে হাজিরার জন্য বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রথম তাঁর সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই পদস্থ আধিকারিকরা। তারপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন এই মামলার দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিক। পুরো জিজ্ঞাসাবাদ রেকর্ড করা হয়। রাত সাড়ে নটা নাগাদ প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বেরিয়ে সোজা চলে যান বেহালার পার্টি অফিসে। তিনি কোথাও সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি।সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন অনেক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিক জানতে চান কীভাবে দুর্নীতি হল? কেন পাঁচজনের কমিটি তৈরি করা হয়েছিল, তাঁদের কাজই বা কী ছিল? ছিল আরও অনেক প্রশ্ন। তবে সিবিআই সূত্রের খবর, কোনও কোনও প্রশ্নের উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, যা হয়েছে নিয়ম মেনে হয়েছে, কিংবা মনে নেই বলে তিনি উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন।এদিন এসএসসির বিশেষ কমিটির সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এনিয়ে কমিটির সদস্যদের ৪ বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হল। তাঁদের প্রশ্নের উত্তরের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তর মিলিয়ে দেখা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সেক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আবারও তলবের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও কমিটির সদস্যদের সঙ্গে একসঙ্গে বসিয়েও জেরা করা হতে পারে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিন্তু সেই আবেদন নিয়ম মেনে হয়নি, তাই তা গ্রহণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয় হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খাওয়ার পরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সামনে সিবিআই-এর সামনে হাজিরা দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না এদিন।