প্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাঃ সরকারি সংস্থায় ঘুষ নিয়ে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ। ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোজেক্ট ইন্ডিয়া লিমিটেডে এই ঘটনা ঘটেছে। সিবিআই এর ইনকোয়ারী এফআইআর-এ নাম রয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বর্তমান বালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের।সিবিআই-এর তরফে লিখিত অভিযোগ করে বলা হয়েছে, সরকারি সংস্থা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোজেক্ট ইন্ডিয়া লিমিটেডে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ঠিকাদার আশুতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছিল।এদিন সিবিআই সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, ৩৬ ঘন্ট আগে একটি এফআইআর করা হয়েছে। এব্যাপারে এফআইআরটি করেছে দিল্লি সিবিআই-এর অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চ। এই এফআইআর-এ সাতজনের নাম রয়েছে। তার মধ্যে চার নম্বরে নাম রয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক সুশান্ত মল্লিকের। এই তালিকায় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোজেক্ট ইন্ডিয়া লিমিটেডের তিন প্রাক্তন পদাধিকারীর নামও রয়েছে। তাঁরা হলেন, প্রাক্তন একজিকিউটিভ ডিরেক্টর হরচরণ পাল, ম্যানেজার পরিতোষ কুমার ব্যানার্জি এবং অপর আধিকারিক আরএস ত্যাগী।সিবিআই-এর এফআইআর-এ উল্লেখ রয়েছে ৫০ লক্ষ টাকার মধ্যে ৪০ লক্ষ টাকা গিয়েছিল তৎকালীন একজিকিউটিভ ডিরেক্টর হরচরণ পালের অ্যাকাউন্টে। পাঁচ লক্ষ টাকা গিয়েছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক সুশান্ত মল্লিকের অ্যাকাউন্টে।এদিন এই অভিযোগ সামনে আসার পরে বর্তমানে তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছন ২০১৭-১৮ সালের একটি ঘটনা, যার চার্জশিট ফাইল হয়েছে ২০২২ সালে। রাজ্যের এক বিজেপি বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে মামলা করতে চাপ দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁর দাবি বিজেপি ছাড়ার সময়ও গেরুয়া শিবিরের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতি নেই, বলা হয়েছিল।এর আগে চিটফান্ড মামলায় জড়িয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়র নাম। তবে সেই সময় বাবুল সুপ্রিয় ছিলেন বিজেপিতে। এব্যাপারে ২০১৭ সালে তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল অভিযোগ করেছিলেন, এক বিজেপি নেতার সঙ্গেও চিটফান্ড মামলায় সংযোগ রয়েছে। যদিও পরবর্তী সময়ে সেই অভিযোগ নিয়ে কোনও আর উচ্চবাচ্চ কিছু হয়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বাবুল সুপ্রিয় ২০২১-এ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের কিছুদিন পরেই বিজেপি ছাড়েন এবং পরে তৃণমূলে যোগ দেন। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এড়াতেই বাবুল তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। কেননা তার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কয়লা ও গরু পাচারে জড়িত।