প্রতিনিধি:-
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা দাবি ঘোরে বিজেপি নেতাদের মুখে মুখে। রাজ্য সফরে এসে নেতা ও কর্মীদের বার্তা দিতে গিয়ে সেই দাবি খারিজ করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন তিনি। রাজ্যে বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে তিনি নিজের ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনেছেন, বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছে। সেই ঘটনায় এদিন কাশীপুরে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে কলকাতায় দলের নেতা ও কর্মীদের সামনে তিনি বলেন, সিবিআই দাওয়াইয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। এ রাজ্যের ২৭২ টি কেস সিবিআই-এর হাতে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অন্যদিকে দলের নেতা ও কর্মীদের ৩৫৬ ধারা জারির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছুদিন হল সরকার ক্ষমতায় এসেছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের বাধ্য বাধকতার কথাও তিনি বলেছেন। দিল্লির মুখাপেক্ষী হয়ে বসে না থেকে নিজেদের লড়াই করার পরামর্শ তিনি দিয়েছেন।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এদিন কলকাতায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সামনে বলেছেন, তৃণমূল সন্ত্রাস করে, তারা যা খুশি তাই করতে পারে কিন্তু বিজেপি তা করতে পারবে না। এখানে গণতন্ত্রের ধার ধারে না কিন্তু বিজেপির পথ অন্য। তিনি বিজেপি নেতা ও কর্মীদের কাছে রাজনৈতিক লড়াইয়ের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিরোধী দলে থাকলে রাজনৈতিক লড়াই লড়তেই হয়। বুথ স্তরে শক্তি বাড়ানোর কথাও তিনি বলেছেন। তিনি যদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাও থাকেন, বাংলার বিজেপি কর্মীদের লড়াইয়ের পাশে তিনি থাকবেন বলে জানিয়েছেন। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঝে মধ্যেই তিনি বাংলায় আসবেন বলে ইঙ্গিত করেছেন অমিত শাহ।দলের নেতা ও কর্মীদেরকে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ করতে গিয়ে অমিত শাহ নিজের ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা তুলে ধরেন বলে জানা গিয়েছে। অমিত শাহ বলেন, তিনি যখন গুজরাতে সরকার বিরোধী ছিলেন, সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে ৫০-এর বেশি মামলা হয়েছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যে দীর্ঘদিন সিপিএম-এর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, বিরোধী আসনে থেকে। এখন যারা এই রাজ্যের শাসক, তারাও বিরোধী আসনে থেকে লড়াই করেছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে বিরোধীদের স্তব্ধ করতে সিপিএম-এর পথ অনুসরণ করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন অমিত শাহ। এমনটাই খবর সূত্রের।এদিন দুদফায় সাংগঠনিক বৈঠকের কথা থাকলেও অমিত শাহের কাশীপুরে যাওয়ার কারণে একটিই বৈঠক হয়। সেখানে কারও প্রশ্ন করার সুযোগ ছিল না বলেও সূত্রের খবর। অমিত শাহ ছাড়াও সেখানে বক্তব্য রাখেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমজার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ।