প্রতিনিধি:-
বাম আমলের শেষের দিকে মাওবাদীদের দৌলতে সিপিএম নেতা অনুজ পাণ্ডের বাড়ি দেখেছিল বাংলা। কিন্তু গত ১২-১৩ বছরে তার কয়েকগুণ বেশি জৌলুসের জন্য একের পর এক তৃণমূল নেতার বাড়িও সবার সামনে এসেছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প ছাড়াও আম্ফানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে।এবার চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগ করে নদিয়ার এক তৃণমূল বিধায়কে বিরুদ্ধে চিঠি পৌঁছল দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়কের নাম তাপস সাহা,তিনি তেহট্টের বিধায়ক। তবে তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ জমা পড়েছে, তা শুধু তেহট্ট থেকেই নয়, পাশাপাশি অন্য দুই বিধানসভা করিমপুর এবং পলাশিপাড়া থেকেও চিঠি পাঠিয়েছেন অভিযোগকারীরা। নদিয়া তিন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে যাওয়া তিনটি চিঠির বিষয়ও এক। বিধায়ক তাপস সাহা হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য চাওয়া হয়েছে।চিঠিতে করা অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত পলাশিপাড়ার বিধায়ক ছিলেন তাপস সাহা। সেই সময় চাকরি দেওয়ার নাম করে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন । তবে টাকা নিলেও কারও চাকরি হয়নি বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, বারে বারে টাকা ফেরত চাওয়া হলেও, তাতে কোনও আমল দেননি তৃণমূল বিধায়ক। এছাড়াও সব অভিযোগ একসঙ্গে করলে প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে কোথাও চাকরি, কোথাও লাইসেন্স করে দেওয়ার নাম করে কমবেশি ১৬ কোটি টাকা তুলেছেন তৃণমূল বিধায়ক। অভিযোগপত্রের সঙ্গে কে কত টাকা তৃণমূল বিধায়ককে দিয়েছেন, সেই তালিকাও দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে অভিযোগকারীদের নাম, ঠিকানা এবং ফোন নম্বরও।এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তিন বিধানসভা এলাকার যাঁরা তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাকে টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করছেন, তাঁরা জানিয়েছেন ভয়ের কারণে সামনে প্রতিবাদে সামিল হতে পারছেন না। সবারই এক অভিযোগ এক-একটি চাকরির জন্য ২-৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তবে কারোর চাকরি হয়নি। এখন সেই টাকাই তাঁরা ফেরত চাইছেন।সংবাদ মাধ্যমের কাছে তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। যাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ করছেন, তাঁরাই আগে প্রমাণ করুন, বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক।
চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি বিধায়ক পদ ছেড়ে দেবেন। এমন কী রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।