প্রতিনিধি:-
বহরমপুরে কলেজছাত্রীকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুতপাকে খুন করে পালানোর পথ আগেই তৈরি করে রেখেছিল সুশান্ত।খুনের আগে রেকি পুলিশ সূত্রের খবর, জেরা চলাকালীন হাসতেই হাসতেই ওই যুবক জানিয়েছে, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই কলেজছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে খুনের ছক কষে ছিলেন। সুতপাকে প্রাণে মেরে ফেলা এক্কেবারে নিশ্চিত করে ফেলতে চেয়েছিল সুশান্ত। খুনের আগে বহরমপুরের গোরাবাজারের ওই এলাকায় বারবার রেকি করার ফাঁকেই পালানোর বন্দোবস্ত করে রাখে ওই যুবক। পরিকল্পনা করেছে কীভাবে মেরে ফেলবে সে সুতপাকে,আর কোন রাস্তা দিয়েই বা পালাবে। সুতপার মেসের পাড়ার সামনের রাস্তা মোটামুটি ফাঁকাই থাকে। তা সে আগেই খেয়াল করেছিল। সেই অনুসারেই ছকেছিল এসকেপ রুট!পাঁচিল টপকে পালায় সুশান্তএলাকার একটি বাড়ির পাঁচিল টপকে পালাবে বলে ঠিক করে সে। সেই উদ্দেশে পাঁচিলে লাগানো পেরেক বাঁকিয়ে রেখে দেয়। ঠিক পরিকল্পনামাফিক, খুনের পর ওই জায়গা দিয়েই পাঁচিল টপকে পালায় সুশান্ত কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কলেজছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে খুনের ছক কষে ভরসন্ধের সময় ওই এলাকায় লোকজন থাকে জেনেই সকলকে ভয় দেখাতে আনে খেলনা বন্দুক। পুলিশের দাবি, শনিবার থেকে বহরমপুরে ঘাঁটি গেড়েছিল সুশান্ত ঐ সময়ে সে কোথায় ছিল, এই কাজে কেউ মদত দিয়েছিল কিনা, জানতে চাওয়ার পাশাপাশি, খেলনা বন্দুক ও ছুরি কোথা থেকে জোগাড় করেছিল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কীভাবে খুন ঠান্ডা মাথায় বহরমপুরে মেসের সামনে হয়েছে। ফিজিক্সের তৃতীয় বর্ষের কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে নৃশংস্যভাবে কুপিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়।রীতিমতো পরিকল্পনা করেছিল ধৃত সুশান্ত চৌধুরী। পাটনার একটি কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন সুশান্ত । সূত্রের দাবি, খুনের পর পুলিশকে এড়াতে দু’-দু’বার লাক্সারি ট্যাক্সি বদলায়। গাড়ির ভিতরেই বদলে নেয় রক্তমাখা পোশাক। যদিও এতকিছু করেও কোন লাভ হয়নি, শেষমেষ পুলিশ তাকে ধরে ফেলতে সক্ষম হয়।এই ঘটনার ফলে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়, এমনকি যে মেসে মেয়েটি থাকতো সেই মেস থেকে ইতিমধ্যে বাকি মেয়েরা বাড়ি চলে যাচ্ছে এরকমটা জানা যাচ্ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে একটা ভয় কাজ করছে অন্য ছাত্রীদের মধ্যেও সেটা পরিষ্কার। যদিও এটা একদমই একটা ব্যক্তিগত ঘটনার আক্রোশ এর সাথে অন্য ছাত্রীদের কোন যোগাযোগ নেই বলে জানা যায়।